হজরত আব্দুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
**'মুহিউদ্দীন’ (ধর্মের জীবন দাতা)
-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-* -*✏ ইমরান বিন বদরী ≪
ইসলামের মহান বানী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য দুনিয়াতে যুগে যুগে যেসকল ওলি আল্লাহর আবির্ভাব ঘটেছে তন্মধ্যে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম। ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মনেতা ও ধর্মপ্রচারক, তাপসকুল শিরোমণি হজরত আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর নাম প্রত্যেক মুসলমানের কাছে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়। মুসলমানের ধর্মীয় জীবনে তাঁর প্রভাব অপরিসীম। তাঁর জীবনী ও কীর্তিগাথা মুসলমানের হৃদয়ে চিরদিন জীবন্ত হয়ে থাকবে। একজন আদর্শ পুরুষ হিসেবে পৃথিবীর প্রত্যেক মুসলমান হজরত আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি-কে ভক্তি ও শ্রদ্ধা করবে চিরদিন।
*জন্ম*
আব্দুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হিজরি ৪৭০/৪৭১ সনে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম তারিখে কাম্পিায়ান সাগরের দক্ষিণ উপকূলে বাগদাদের জিলান শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবু সালেহ মুছা জঙ্গী। মাতার নাম সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা। তিনি ছিলেন হজরত ইমাম হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর বংশধর সৈয়দ আব্দুল্লাহ সাওমেয়ীর কন্যা।বড়পীরের জন্ম ইরাকের অন্তর্গত জিলান নামক স্থানে হয় বলে তাকে জিলানী বলা হয়। তাঁর উপাধি ছিল মুহিউদ্দীন(দ্বীনকে পুনর্জীবিতকারী)।
*শিক্ষা*
শৈশবেই তিনি কুরআন শরীফ হিফজ করেন। মায়ের কাছ থেকে প্রাথমিক দ্বীনী শিক্ষা গ্রহণ করে জিলান নগরীর এক মাদরাসায় অধ্যয়ন করেন। তাঁর আম্মা ছেলেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য বাগদাদ পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।বাগদাদের ‘নিযামিয়া মাদরাসা’ ছিল তদানীন্তন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়।তাসাওফের তথা শরীয়ত,তরীকত,হাক্বীকত ও মা’রিফাতের পান্ডিত্য অর্জন সহ তিনি ইলমে হাদিস ইলমে ফিকহ এর তা’লীম গ্রহণ করেন।তিনি কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ের পণ্ডিত ছিলেন। তার রচিত বহু গ্রন্থ রয়েছে। এসব গ্রন্থের মধ্যে ফতহুল গায়ের গুনিয়াতুত তালেবীন, ফতহুর রবযানী, কালীদায়ে গাওসিয়া,সিররুল আসরার উল্লেখযোগ্য।
*ধর্ম প্রচার*
শিক্ষা-দীক্ষায় পূর্ণতা অর্জনের পর তিনি নিজেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত করেন। বিভিন্ন মাহফিলে তিনি ইসলামের সুমহান আদর্শ যুক্তিপূর্ণ ভাষায় বর্ণনা করতেন। তার মহফিলে শুধু মুসলমান নয়, অনেক অমুসলিমও অংশগ্রহণ করতো। তার বক্তব্য শুনে অনেক অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন।আদর্শ, উন্নত চরিত্র, উদারতা, সর্বসাধারণের সাথে মেলামেশা, উত্তম মুয়ামালা ইত্যাদিতে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।
*ওফাত*
হিজরী৫৬১/৬৬২ সালের ১১ রবিউসসানী আব্দুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি পরলোক গমন করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বড়পীর সাহেবের এই ওফাতের দিন সারা বিশ্বের মুসলমানরা প্রতি বছর অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকেন এবং তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম হিসেবে পরিচিত।তাসাওউফের দিকনির্দেশনায় তাঁর তরীকা সারা বিশ্বে কাদেরিয়া তরীকা নামে পরিচিত।
*বন্ধুরা--আল্লাহর মুমিন বান্দা হিসেবে আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর সৎ চিন্তা, সচ্চরিত্রের মহাশিক্ষায় নিজেদের উজ্জীবিত করতে পারি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সেই শক্তি আমাদের দান করুন।
**'মুহিউদ্দীন’ (ধর্মের জীবন দাতা)
-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*
ইসলামের মহান বানী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য দুনিয়াতে যুগে যুগে যেসকল ওলি আল্লাহর আবির্ভাব ঘটেছে তন্মধ্যে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম। ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মনেতা ও ধর্মপ্রচারক, তাপসকুল শিরোমণি হজরত আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর নাম প্রত্যেক মুসলমানের কাছে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়। মুসলমানের ধর্মীয় জীবনে তাঁর প্রভাব অপরিসীম। তাঁর জীবনী ও কীর্তিগাথা মুসলমানের হৃদয়ে চিরদিন জীবন্ত হয়ে থাকবে। একজন আদর্শ পুরুষ হিসেবে পৃথিবীর প্রত্যেক মুসলমান হজরত আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি-কে ভক্তি ও শ্রদ্ধা করবে চিরদিন।
*জন্ম*
আব্দুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হিজরি ৪৭০/৪৭১ সনে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম তারিখে কাম্পিায়ান সাগরের দক্ষিণ উপকূলে বাগদাদের জিলান শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবু সালেহ মুছা জঙ্গী। মাতার নাম সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা। তিনি ছিলেন হজরত ইমাম হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর বংশধর সৈয়দ আব্দুল্লাহ সাওমেয়ীর কন্যা।বড়পীরের জন্ম ইরাকের অন্তর্গত জিলান নামক স্থানে হয় বলে তাকে জিলানী বলা হয়। তাঁর উপাধি ছিল মুহিউদ্দীন(দ্বীনকে পুনর্জীবিতকারী)।
*শিক্ষা*
শৈশবেই তিনি কুরআন শরীফ হিফজ করেন। মায়ের কাছ থেকে প্রাথমিক দ্বীনী শিক্ষা গ্রহণ করে জিলান নগরীর এক মাদরাসায় অধ্যয়ন করেন। তাঁর আম্মা ছেলেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য বাগদাদ পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।বাগদাদের ‘নিযামিয়া মাদরাসা’ ছিল তদানীন্তন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়।তাসাওফের তথা শরীয়ত,তরীকত,হাক্বীকত ও মা’রিফাতের পান্ডিত্য অর্জন সহ তিনি ইলমে হাদিস ইলমে ফিকহ এর তা’লীম গ্রহণ করেন।তিনি কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ের পণ্ডিত ছিলেন। তার রচিত বহু গ্রন্থ রয়েছে। এসব গ্রন্থের মধ্যে ফতহুল গায়ের গুনিয়াতুত তালেবীন, ফতহুর রবযানী, কালীদায়ে গাওসিয়া,সিররুল আসরার উল্লেখযোগ্য।
*ধর্ম প্রচার*
শিক্ষা-দীক্ষায় পূর্ণতা অর্জনের পর তিনি নিজেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত করেন। বিভিন্ন মাহফিলে তিনি ইসলামের সুমহান আদর্শ যুক্তিপূর্ণ ভাষায় বর্ণনা করতেন। তার মহফিলে শুধু মুসলমান নয়, অনেক অমুসলিমও অংশগ্রহণ করতো। তার বক্তব্য শুনে অনেক অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন।আদর্শ, উন্নত চরিত্র, উদারতা, সর্বসাধারণের সাথে মেলামেশা, উত্তম মুয়ামালা ইত্যাদিতে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়।
*ওফাত*
হিজরী৫৬১/৬৬২ সালের ১১ রবিউসসানী আব্দুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি পরলোক গমন করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বড়পীর সাহেবের এই ওফাতের দিন সারা বিশ্বের মুসলমানরা প্রতি বছর অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকেন এবং তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম হিসেবে পরিচিত।তাসাওউফের দিকনির্দেশনায় তাঁর তরীকা সারা বিশ্বে কাদেরিয়া তরীকা নামে পরিচিত।
*বন্ধুরা--আল্লাহর মুমিন বান্দা হিসেবে আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর সৎ চিন্তা, সচ্চরিত্রের মহাশিক্ষায় নিজেদের উজ্জীবিত করতে পারি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সেই শক্তি আমাদের দান করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন