মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫

ঈমানের দাবি মসজিদুল আকসা রক্ষা করা

ঈমানের দাবি মসজিদুল আকসা রক্ষা করা
═════════════════════
✏ ইমরান বিন বদরী ≪ 
নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম,আম্মা বা’দ।
আবার কবে জন্মনিবে সেই বীরসিপাহী খালীদ বিন ওয়ালীদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর অনুসারী সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর মত বীর সেনাপতি ?যার হাত ধরে মুসলমানরা ফিরে পেয়েছিলো আজকের এই হারানো বাইতুল মুকাদ্দাস।
অলৌকিক ঘটনা,নির্মাণ,পুনর্নির্মাণ,যুদ্ধ,দখল,পাল্টা দখল,অগি্নসংযোগ এর মতো ঘটন-অঘটনের নীরব সাক্ষী হয়ে পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময় সৃষ্টি করেছে 'মসজিদ আল আকসা'।
(আরবিঃالمسجد الاقصى) 'আকসা' শব্দটি দিয়ে দূরবর্তী কিছুকে বুঝানো হয়। মসজিদটির অপর নাম 'বায়তুল মুকাদ্দাস।' মসজিদটি প্রকৃতপক্ষে আল কুদস্ নামক স্থানে অবস্থিত, যা বর্তমানে জেরুজালেম নামে অধিক পরিচিত।১৫০ কোটি মুসলমানের প্রথম কিবলা জেরুজালেমের মসজিদ আল আকসা এখন আগ্রাসী ইহুদিদের হাতে অবরুদ্ধ। মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস রক্ষা আজ মুসলমানের ঈমানের দাবি।ইহুদীদের বর্বরতায় আজ এই পবিত্র মসজিদে হামলা করা হচ্ছে।
মুসলিম ওয়াকফ এর পরিচালক আজাম আল-খতিব বলেন,প্রায় ৩০০ সৈন্য আল-আকসা মসজিদের ভেতর প্রবেশ করে তান্ডবলীলা চালায়।
মুসলমানদের প্রথম কেবলা এই মসজিদের ভিতর সেনাদের একটি অংশ সরাসরি তাদের বুট দিয়ে মিহরাব এবং মিম্বরকে পদদলিত করে।এখন কোন মুসলমানকে মসজিদ এরিয়াতেও প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা।


❖ বন্ধুরা══
আল-আকসা মসজিদ রক্ষার দায়িত্ব কেবলমাত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর অর্পিত নয় বরং গোটা মুসলিম জাতিরই এ বিষয়ে দায়িত্ব রয়েছে।শবে মি’রাজের ঐতিহাসিক রাতে হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহে ওসাল্লাম মক্কা থেকে প্রথমে আল আকসা মসজিদে আসেন। এরপর বিশেষ বাহনে চড়ে হজরত জিব্রাইল (আ.)-কে সঙ্গে নিয়ে মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে ঊধর্্বমুখে উড্ডয়ন করেন।
সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 0১ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:-
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ
''পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল''।
══আল আকসা মসজিদের গুরুত্বের আরও একটি বড় কারণ হলো প্রথম থেকে হিজরত পরবর্তী ১৭ মাস পর্যন্ত মুসলমানরা আল আকসা মসজিদের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। পরবর্তীতে মহান আল্লাহর নির্দেশে মুসলমানদের কেবলা মক্কার দিকে পরিবর্তিত হয়।
মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহে ওসাল্লাম নয় শুধু অনেক নবী রাসুলের এই স্মৃতির মসজিদ এখন মহাঝুকিতে রয়েছে।বর্তমানে মসজিদ প্রাঙ্গণটি ১৫,৫০,০০০ স্কয়ার ফুট এলাকার ওপর অবস্থিত। শুধু মসজিদের আয়তন ৩,৮০,০০০ স্কয়ার ফুট। মসজিদটিতে ২টি বড় এবং ১০টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। এ মসজিদ নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে স্বর্ণ, সিসা বা লিড এবং মার্বেলসহ বিভিন্ন প্রকার পাথর ব্যবহৃত হয়। এই মসজিদ রক্ষায় বিশ্বের সমস্ত মুসলিম জাতি,সরকার ,সংগঠনের এগিয়ে আসা খুবই জরুরী। ইসলামী এস্টেটের নামে শান্তির ধর্ম ইসলামকে অপব্যবহার করে এক মুসলিম অপর এক মুসলিম ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করছে কিন্তু জিহাদে ফি সাবিলিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের কথা ভুলে গিয়ে ক্ষমতার জিহাদে আজ মুসলিম বিশ্বমগ্ন। ইসলামের তৃতীয় পবিত্র এই মসজিদ রক্ষা করা আজ আমাদের ঈমানের দাবি প্রানের দাবি,একজন মুসলমান হিসেবে যে যার অবস্থান থেকে আসুন প্রতিবাদ জানাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন