মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫

শাফা`আতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

শাফা`আতে রাসুলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম✯
═════❖═════➲
ইমরান বিন বদরী
নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম,আম্মা বা’দ।
সমস্ত প্রশংসা পরম করুণাময় রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তায়ালার জন্য; আর সালাত (দুরূদ) ও সালাম আমাদের নবী সায়্যাদুল মুরসালীন প্রিয় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি।

শাফাআত-এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, সুপারিশ, মাধ্যম ও দু’আ বা প্রার্থনা।একজন উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এর চেয়ে বড় কী আশা থাকতে পারে যে, কাল ক্বিয়ামতের কঠিনতম সময়ে নবী রাহমাতুল্লীল আলামীনের শাফা`আত প্রাপ্তি হবে ! কতইনা সৌভাগ্যবান ঐ সব ব্যক্তি,যাদেরকে আল্লাহর হাবীব হাশরের মাঠের মহা সংকটের দিনে সুপারিশ করবেন।আখেরাতে অনুষ্ঠেয় শাফাআতের প্রর্থনার বিষয়টি আমাদের অনেকের কাছেই অস্পষ্ট। শাফা`আত নিয়ে লেখার কখনো ইচ্ছা ছিলোনা,কারণ সবাই জানি যে আমরা গুনাহগার। কাল হাশরের ময়দানে আল্লাহর দরবারে বিচার দিবসে স্ব স্ব অপরাধের কারণে সেই সৎসাহস নেই যে বলবো - হে আল্লাহ আমি পাপমুক্ত, তোমার বিচারে হিসাব ছাড়াই তুমি আমাকে জান্নাত দান কর। আর আমরা বলতে পারবনা বলেই এই গুনাহগার উম্মতের মুক্তির জন্য ১৪০০পূর্বে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে 'রাব্বী হাবলী উম্মাাতী' রাব্বী হাবলী উম্মাাতী' বলে বলে কান্নাকাটি করেছিল বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী নবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সল্লাললাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম। কিন্তু আজ অনেকে সেই হাবীবুল্লাহর শাফা`আতকে পরোক্ষভাবে সুরা যুমার ৪৪ আয়াত দ্বারা অস্বীকার করছে। অথচ এতো এতো সহীহ হাদিস থাকা সত্ত্বেও তারা দেখেও যেন দেখেনা।

বন্ধুরা ➲ আমরা কেও ভুলের ঊর্ধে নই,আমার লেখাতেও ভুল হতে পারে।আমি চেষ্ঠাকরি সত্যটাকে উপলব্দি করতে আর তাই মনের অজান্তে জ্ঞানের স্বল্পতায় ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমরা জানি কিতাবুল্লাহ তথা পবিত্র কুরআনে করীমের বাণীকে প্রাধান্য দিয়েই হাদীসে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লামকে গ্রহণ করতে হবে। এখন যে আয়াতের ভিত্তিতে কাংখিত শাফা`আতকে অস্বীকার করার চেস্টা, তা সেই সব কাফেরদের জন্য যারা মহান আল্লাহর ওয়াহদানিয়তকে স্বীকার করেনা।
মুলতঃ সৃষ্টি কর্তার হাতেই রয়েছে সবকিছুর ক্ষমতা সুতরাং শাফাআত এটাও মহান আল্লাহর এখতিয়ারে। কিন্তু সেই শাফাআতের অধিকার যদি আল্লাহপাক তার প্রিয় হাবীবকে দেয় তাতে আমাদেরি বেশী আনন্দিত হওয়ার কথা। হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন
أَن يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحْمُودًا (সুরা বনী ইসরাঈল ৭৯)
আপনার প্রতিপালক অচিরেই সেইদিন আপনাকে ‘মাক্বামে মাহমূদে’ পৌঁছিয়ে দেবেন’।
বিশ্বনবী হাবীবুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামতের দিন সায়্যিদুশ শুফাআ’ বা শাফাআতকারীদের সর্দার হবেন। এ সত্ত্বেও তিনি সিজদাবনত হবেন আল্লাহর দরবারে এ উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- آتي تَحْتَ الْعَرْشِِ فَأَخِرُّ سَاجِدًا  আমি আরশের নিচে আসব আর সিজদায় লুটিয়ে পড়ব।

❖আসুন দেখি সুরা যুমার আয়াতে আল্লাহপাক কী বলেন ═➲
أَمِ اتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ شُفَعَاء قُلْ أَوَلَوْ كَانُوا لَا يَمْلِكُونَ شَيْئًا وَلَا يَعْقِلُونَ
তারা কি আল্লাহ ব্যতীত সুপারিশকারী গ্রহণ করেছে? বলুন, তাদের কোন এখতিয়ার না থাকলেও এবং তারা না বুঝলেও? (সুরা যুমার ৪৩)
قُل لِّلَّهِ الشَّفَاعَةُ جَمِيعًا لَّهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
বলুন, সমস্ত সুপারিশ আল্লাহরই ক্ষমতাধীন, আসমান ও যমীনে তাঁরই সাম্রাজ্য। অতঃপর তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। (সুরা যুমার ৪৪)
এর পরবর্তী আয়াতে আল্লাহপাক স্পষ্ট করেন কাদেরকে সুপারিশ (আল্লাহর পক্ষথেকে) করা হবেনা। এদের পরিচয়ে আল্লাহপাক বলেন, وَإِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَحْدَهُ اشْمَأَزَّتْ قُلُوبُ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ وَإِذَا ذُكِرَ الَّذِينَ مِن دُونِهِ إِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُونَ
যখন খাঁটিভাবে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর সংকুচিত হয়ে যায়, আর যখন আল্লাহ ব্যতীত অন্য উপাস্যদের নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন তারা আনন্দে উল্লসিত হয়ে উঠে।
 (সুরা যুমার ৪৫)
উপরোক্ত আয়াতে দেখুন যারা মুশরিক অর্থাত্ আল্লার নাম ব্যতিত অন্যনাম উচ্চারণে আনন্দিত হয় তাদের জন্য শাফাআতের দরজা খোলা নেই।

❖এবার আসুন কাল কিয়ামত দিবসে মুমিনদের সুপারিশ কারীর প্রসংগে আল্লাহপাক বলেন ═➲
وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَى وَهُم مِّنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ
তারা শুধু তাদের জন্যে সুপারিশ করে, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত।
(সুরা আম্বিয়া ২৮)।
═➲ আল্লাহপাক আরো ইরশাদ করেন - يَوْمَئِذٍ لَّا تَنفَعُ الشَّفَاعَةُ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَرَضِيَ لَهُ قَوْلًا
দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না। (সূরা ত্বোয়া-হা ১০৯)
═➲ আল্লাহপাক আরো ইরশাদ করেন - وَلَا تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ عِنْدَهُ إِلَّا لِمَنْ أَذِنَ لَهُ
আর আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন সে ছাড়া তাঁর কাছে কোন সুপারিশ কারো উপকার করবে না। (সূরাঃ সাবা ২৩)
সুতরাং কিয়ামত দিবসে নিজেদের জন্য বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী নবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সল্লাললাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম এর শাফা‘আত কামনা করতেই পারি। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ''আমাকে শাফায়াতের অধিকার প্রদান করা হয়েছে।'' সেই সাথে যেন বলি হে আল্লাহ ! কিয়ামত দিবসে আপনি আমার ভাগ্যে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শাফা‘আত নছীব করুন।

❖হাদিস শরীফে আল্লার প্রিয় হাবীব ইরশাদ করেন.═➲
جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ مِنَ الأَنْبِيَاءِ قَبْلِي، نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ، وَجُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا، وَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ فَلْيُصَلِّ، وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ، وَكَانَ النَّبِيُّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ خَاصَّةً، وَبُعِثْتُ إِلَى النَّاسِ كَافَّةً، وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةَ "
═➲ হযরত জাবির ইবনুূু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় প্রদান করা হয়েছে, যা আমার আগে কোন নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেয়া হয়নি।
১। আমাকে এমন প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে যা একমাসের দূরত্ব পর্যন্ত অনুভূত হয়।
২। সমস্ত জমিন আমার জন্য সালাত (নামাজ) আদায়ের স্থান ও পবিত্রতা অর্জনের উপায় করা হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের যে কেউ যেখানে সালাত-এর ওয়াক্ত হয় (সেখানেই) যেন সালাত আদায় করে নেয়।
৩। আমার জন্য গণীমত হালাল করা হয়েছে।
৪। অন্যান্য নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেদের বিশেষ গোত্রের প্রতি প্রেরিত হতেন আর আমাকে সকল মানবের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে।
৫। আমাকে (ব্যাপক) #শাফায়াতের অধিকার প্রদান করা হয়েছে। (সহিহ বুখারী/৪২৫ইফা/আহমাদ ১৪২৬৮)

═➲ হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: প্রত্যেক নবী কে তাঁর উম্মাতের ব্যাপারে একটি করে এমন দু’আর অনুমতি দেয়া হয়েছে, যা অবশ্যই কবুল করা হবে। আমি সংকল্প করেছি, আমার দু’আটি পরে আমার উম্মাতের #শাফাআতের জন্য করব।(সহীহ মুসলিম/ইফা৩৮৯)
রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- دَعْوَتِي شَفَاعَةً لِأُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ
আমি আমার দু‘আকে ক্বিয়ামাতের দিনে আমার উম্মাতের শাফা‘আতের জন্য রেখে দিয়েছি।

═➲রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,(أَنَا أَوَّلُ شَافِعٍ وَ أَوَّلُ مُشَفَّعٍ (متفق عليه
“আমিই প্রথম সুপারিশকারী এবং আমার শাফাআতই প্রথম গ্রহণ করা হবে। (বুখারী, মুসলিম)

═➲ أَنَا أَوَّلُ النَّاسِ يَشْفَعُ فِى الْجَنَّةِ وَأَنَا أَكْثَرُ الأَنْبِيَاءِ تَبَعًا
হযরত আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন জান্নাত সম্পর্কে আমই হবো সর্বপ্রথম #সুপারিশকারী এবং এত অধিক সংখ্যক মানুষ আমার প্রতি ঈমান আনবে,যা অন্য কোন নবী র বেলায় হবে না। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দের কেউ কেউ তো এমতাবস্হায়ও আসবেন,যার প্রতি মাত্র এক ব্যাক্তিই ঈমান এনেছে। (সহীহ মুসলিম/ইফা ৩৮১)

═➲ হজরত ইসহাক ইবনু নাসর (রহঃ) আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে এক যিয়াফতে উপস্থিত ছিলাম। তাঁর সামনে (রান্না করা) ছাগলের বাহু পেশ করা হল, এটা তাঁর কাছে পছন্দনীয় ছিল। তিনি সেখান থেকে এক টুকরা খেলেন এবং বললেন, আমি কিয়ামতের দিন সমগ্র মানব জাতির সরদার হব। তোমরা কি জানো? আল্লাহ কিভাবে (কিয়ামতের দিন) একই সমতলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল মানুষকে একত্রিত করবেন? যেন একজন দর্শক তাদের সবাইকে দেখতে পায় এবং একজন আহ্বানকারীকে ডাক সবার কাছে পোঁচছায়। সূর্য তাদের অতি নিকটে এশে যাবে। তখন কোন কোন মানুষ বলবে, তোমরা কি লক্ষ্য করনি, তোমরা কি অবস্তায় আছে এবং কি পরিস্তিতির সম্মুখীন হয়েছে। তোমরা কি এমন ব্যাক্তিকে খুঁজে বের করবে না, যিনি তোমাদের জন্য তোমাদের রবের নিকট সুপারিশ করবেন? তখন কিচু লোক বলবে, তোমাদের আদম পিতা আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম আছেন। (চল তাঁর কাছে যাই)। তখন সকলে তাঁর কাছে যাবে এবং বলবে, হে আদম! আপনি সমস্ত মানব জাতির পিতা। আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং তার পক্ষ থেকে রূহ আপনার মধ্যে ফুঁকেছেন। তিনি ফিরিশ্‌তাদেরকে (আপনার সম্মানের) নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী সকলে আপনাকে সিজ্‌দাও করেছেন এবং তিনি আপনাকে জান্নাতে বসবাস করতে দিয়েছেন। আপনি কি আমাদের জন্য রবের নিকট সুপারিশ করবেন না? আপনি দেখেন না আমরা কি অবশ্তায় আছি এবং কি কষ্টের সম্মুখীন হয়েছি? তখন তিনি বলবেন, আমার রব আজ এমন রাগান্বিত হয়েছেন, এর পূর্বে এমন রাগান্বিত হননি আর পরেও এমন রাগান্বিত হবেন না। আর তিনি আমাকে বৃক্ষটি থকে (ফল খেতে) নিষেধ করেছিলেন। তখন আমি ভুল করেছি। এখন আমি নিজের চিন্তায় ব্যস্ত। তোমরা আমি ব্যতিত অন্য কার কাছে যাও। তোমরা নূহের কাছে চলে যাও। তখন তারা নূহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসবে এবং বলবে, হে নূহ! পৃথিবীবাসীদের নিকট আপনিই প্রথম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আল্লাহ আপনার নাম রেখেছেন কৃতজ্ঞ বান্দা। আপনি কি লক্ষ্য করেছেন না, আমরা কি ভয়াবহ অবশ্তায় পরে আছি? আপনি দেখছেন না আমরা কতইনা দুঃখ কষ্টের সম্মুখীন হয়ে আছি? আপনি কি আমাদের জন্য আপনার রবের কাছে সুপারিশ করবেন না? তখন তিনি বলবেন, আমার রব আজ এমন রাগান্বিত হয়ে আছেন, যা ইতিপূর্বে হন নাই এবং এমন রাগান্বিত পরেও হবেন না। এখন আমি নিজের চিন্তায় ব্যস্ত। তোমরা নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মুহাম্মদ)–এর কাছে চলে যাও। তখন তারা আমার কাছে আসবে আর আমি আরশের নীচে সিজ্‌দায় পড়ে যাবে।
তখন বলা হবে, হে মুহাম্মদ! আপনার মাথা উঠান এবং #সুপারিশকরুন। আপনার সুপারিশ গ্রহন করা হবে আর আপনি যা চান, আপনাকে তাই দেওয়া হবে।
(আম্বিআ কিরাম সহীহ বুখারি/ ইফা ৩১০৪)
═➲ হে আল্লাহ ! কাল কিয়ামতের কঠিন সময়ে তোমার হাবীবের শাফাআত প্রাপ্ত হওয়ার সেই কামীয়াবি হাছিল করার তৌফিক দান কর। اَللهم لاَتَحْرِمْنِيْ شَفَاعَةَ نَبِيِّكَ আর কিয়ামত দিবসে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদের জন্য শাফা‘আত করবেন, আমাকে আপনি তাদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন। আমীন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন