মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫

শবে বরাত

✯❖ শবে বরাত ❖✯
════❖════➲
ইমরান বিন বদরী
নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম,আম্মা বা’দ।
বর্তমান সমাজ এমন এক পরিস্হিতির সৃষ্টি যার ফলে আমাদের মত সাধারন মানুষ দিশেহারা হয়েই পড়ছি। ভেবে পাইনা কার কথা শুনবো! কার কথাকে প্রাধান্য দেব।মানুষ এমন এক গোলাটে পরিস্থিতিতে পড়ে ধর্মবিমূখ হয়ে পড়ছেন।ইসলামে এটা নাই ওটা নাই এটা করলে বিদায়াত এমন একের পর এক ফতোয়ার দরুন সরলমনা মানুষ পথহারা পথিকেরমত ধর্মীয় রিতিনীতিতে নিরুত্সাহিত হয়ে পড়ছেন। আজ আমার এই লেখা তাদেরই জন্য যারা সরল মনে নেগেটিভ চিন্তাভাবনার বাইরে এসে স্বজ্ঞানে জানতে বা জানানোর জন্য পড়বে। আশাকরি প্রত্যেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। বিতর্ক নয় সম্মানের সহিত ক্ষুদ্র জ্ঞানে লেখার যোগ্যতা না থাকলেও সাহস করে একটু করে লেখতে সতেষ্ট হলাম।


শব এবং বরাত (شب برات ) শব্দদ্বয় পবিত্র কুরআন এবং হাদীস শরীফে নেই কারণ এগুলো ফার্সি শব্দ। যেমন নামায, রোযা, খোদা,ফেরেশতা, ইত্যাদি ব্যবহৃত শব্দ।ফার্সী শব অর্থ রাত্রি এবং বরাত অর্থ ভাগ্য বা মুক্তি। সুতরাং শবে বরাত মানে হল ভাগ্য রজনী বা মুক্তির রাত। আর হাদীছ শরীফ এ শবে বরাতকে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শা’বান মাসের মধ্য রাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।সিয়াহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ছয়খানা হাদিস গ্রন্থের কোনো কোনো হাদিস গ্রন্থে এই রাতের বিশেষত্ব নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়।সিহাহ সিত্তারই দুটি কিতাব - তিরমিযী শরীফ ও সুনানে ইবনে মাজাহতে শুধু যে শবে বরাত এর ফজীলত সম্পর্কিত হাদীস বর্ণিত আছে তা নয়, বরং ইমাম তিরমিযী (রহঃ) তাঁর তিরমিযী শরীফে এবং ইমাম নাসাঈ (রহঃ) তাঁর সুনানে পনের শাবানের ফজীলত নিয়ে আলাদা বাব বা অধ্যায়ই লিখেছেন।শাবান মাসটি রমজানের পূর্ববর্তী মাস হওয়ার কারণে বরকত ও পুণ্যময় একটি মাস, এ জন্য রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের উদ্দেশ্যে রাসুল সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এ মাসে অধিক হারে রোজা রাখতেন। মূলতঃ শা’বান একটা প্রজ্ঞাপূর্ণ বরকতময় মাস।

❖ হাদীস শরীফে উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত,
مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلَّا رَمَضَانَ، وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ
আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে রমজান মাসের পর শাবান ব্যতীত অন্য কোন মাসে এত রোজা রাখতে দেখিনি।
১.কিতাবুস সওম-১৯৬৯/১৮৬৮সহিহ বুখারী
২.কিতাবুস সিয়াম-১১৫৭ সহিহ মুসলিম
শাবান মাসের মধ্য রাত্রির ফযীলত সম্পর্কে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে:
فقدت النبي صلى الله عليه وسلم فخرجت فإذا هو بالبقيع رافع رأسه إلى السماء, فقال: أكنت تخافين أن يحيف الله عليك و رسوله؟ فقلت : يا رسول الله, ظننت أنك أتيت بعض نسائك. فقال إن الله تبارك و تعالى ينزل ليلة النصف من شعبان إلى سماء الدنيا فيغفر لأكثر من عدد شعر غنم كلب)
❖.উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন: এক রাতে আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম, আমি তাকে বাকী গোরস্তানে(জান্নাতুল বাক্বী) পেলাম। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন: ‘তুমি কি মনে কর, আল্লাহ ও তাঁর রসূল তোমার উপর জুলুম করবেন?’ আমি বললাম: ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর নিকট চলে গিয়েছেন। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ‘মহান আল্লাহ তা’লা শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের ক্ষমা করেন।
১.হাদীস শরীফটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেন (৬/২৩৮),
২.ইমাম তিরমিযি তার সুনানে (২/১২১,১২২)
ইমাম তিরমিযী উল্লেখ করেন,"হযরত আবু বকরও রাদিয়াল্লাহু আনহু এরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন বলে জানা যায়।
৩.অনুরূপভাবে হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে(১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৯)।

❖.হযরত আবু মূসা আল আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘আল্লাহ তা‘আলা শাবানের মধ্যরাত্রিতে আগমণ করে, মুশরিক ও ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের ব্যতীত, তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে দেন।
১.হাদীস শরীফটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৫৫, হাদীস নং ১৩৯০) বর্ণনা করেছেন।

, عن معاذ بن جبل, عن النبى (, قال : يطلع الله الى خلقه فى ليلة النصف من شعبان, فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن ]رواه ابن حبان وغيره, ورجاله ثقات, وإسناده متصل غلى مذهب مسلم الذى هو مذهب الحمهورفى المعنعن, ولم يحزم الذهبى بأن مكحولالم يلق مالك بن يخامر كما زعم, وإنما قاله على سبيل الحسان, راجع ,سبر أعلام النبلاء
❖ হযরত মুআয ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবি করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।
১.সহিহ ইবনে হিব্বান(৫৬৬৫ নং হাদিস)।
২.ইমাম বাইহাকী (রহঃ)শুআবুল ঈমান এ (৩/৩৮২, হাদিস ৩৮৩৩)।
এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, এ রাতে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাতের দ্বারা ব্যপকভাবে উন্মুক্ত হয়।
নাসিরুদ্দিন আলবানী সিলসিলাতুল আহাদসিস্ সাহিহা ৩/১৩৫-১৩৯ এ এই হাদিস সমর্থন করার পর লেখেন,
وجملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلاريب. والصحة تثبت بأقل منها عددا، مادامت سالمة من الضعف الشديد، كماهو الشأن فى هذاالحديث .
এ সব রেওয়াতের মাধ্যমে সমষ্টিগত ভাবে এই হাদিসটি নিঃসন্দেহে সহিহ প্রমাণিত হয়।

❖.হযরত আলী ইবনে আবী তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন শা‘বানের মধ্যরাত্রি আসবে তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে, আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সুর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করব। রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব। সমস্যাগ্রস্ত কেউ কি আছে যে আমার কাছে পরিত্রাণ কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব। এমন এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর পর্যন্ত তিনি এভাবে বলতে থাকেন”।
১.হাদীস শরীফটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন।

অনেকে উল্লেখিত কিছু হাদীস শরীফকে দ্বয়ীফ (দুর্বল) বলে থাকেন। হাদীস দুর্বল হয় রাবীর দুর্বলতার (কম গ্রহণযোগ্য) কারণে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কোন কথাই দ্বয়ীফ বা দুর্বল নয়। মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,সকলেই একমত যে দুর্বল হাদীস ফজিলত হাসিল করার জন্য আমল করা জায়েজ আছে। (মওজুআতুল কবীর, ১০৮ পৃষ্ঠা) দুর্বল হাদীসের মূল বক্তব্য কুর'আন শরীফ অন্য কোন সহীহ হাদীসের (পরিপন্থী) বিরোধীতা না করলে আমল করা যাবে।
**ইবনে তাইমিয়া তার (ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীমে ২/৬২৬)
**নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী (ছিলছিলাতুল আহাদীস আস্‌সাহীহা ৩/১৩৫-১৩৯)
আরো অনেকে এ রাত্রিকে ফযীলতের রাত বলে মত প্রকাশ করেছেন।
এই রাতকে অন্য সব সাধারণ রাতের মতো মনে করা এবং এই রাতের ফজিলতের ব্যাপারে যত হাদিস এসেছে, তার সবগুলোকে মওযু বা যয়ীফ মনে করা ভুল যেমন,অনুরূপ এ রাতকে শবে কদরের মত বা তার চেয়েও বেশি ফজিলতপূর্ণ মনে করাও ভিত্তিহীন ধারণা।
মোট কথাঃ এ রাত্রিতে ফযীলত রয়েছে।

❖ এ ছাড়াও সুস্পষ্ট হাদীস শরীফে এসেছে যে,
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :“আল্লাহ তা‘আলা প্রতি রাতের শেষাংশে – শেষ তৃতীয়াংশে- নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে আহবান জানাতে থাকেন ‘এমন কেউ কি আছে যে আমাকে ডাকবে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব? এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাকে দেব? আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেব?”
১.সহীহ বুখারী, ১১৪৫
২.সহীহ মুসলিম ৭৫৮

❖অন্যান্য দেশীয় এর নাম :
ইরান ও আফগানিস্তানে---- নিম শা'বান।
আরবী ভাষাভাষীর বলে--- নিসফ্ শা'বান।
মালয় ভাষাভাষীর বলে ----নিসফু শা'বান।
তুর্কি ভাষাভাষীর বলে -----বিরাত কান্দিলি।
ভারতীয় উপমহাদেশে বলা হয় ---শবে বরাত।
আরেকটি কথা না বল্লে নয়,তা হচ্ছে সূরা দুখানের ৩ এবং ৪ এর আয়াতের তাফছির নিয়ে বিখ্যাত তাফছিরকারকগন একেক ধরনের তাফছির করেছেন। অধিকাংশরা লাইলাতুল ক্বদরকে উল্লেখ করলেও কিছু কিছু তাফছিরকারকগন লাইলাতুল মুবারাকা মানে শাবানের মধ্য রজনীকে উল্লেখ করেছেন। তার একটাই কারণ পবিত্র ''কালামুল্লাহ' ক্বদর রাতে যে নাজিল হয়েছে তার প্রমাণ সূরা ক্বদরেই বর্ণনা রয়েছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ – سورةالقدر
আমি এ কোরআনকে ক্বদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা ক্বদরঃ১)।
এ ছাড়াও আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন সূরা বাকারায়- شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ- سورة البقرة
রমযান এমন একটি মাস যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আলবাকারাহঃ১৮৫)।
পবিত্র কুরআন নাজিলের জন্য রমজান মাসকে নির্ধারীত করে দিয়েছেন আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন। আমি এর তাফছির নিয়ে মন্তব্য করতে চাইনা,তবে হাদিস শরীফের বর্ণনার উপর শরীয়তের হুকুম না হলেও মহান আল্লার দরবারে নিজেকে অর্পন করার জন্য এমন একটি মহতি কাজে নিরুত্সাহিত করার সেই দুঃসাহস আমার নেই। মুসলিম সমাজে সাধারণ মানুষ আজ ধর্ম বিমুখ হয়ে পড়ছেন। যে কোনো ভালো কাজে এখন বিদায়াত ফতোয়া দিয়ে ধর্মিয় অনুরাগ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। যে কাজ ইসলামের মূলে পরিবর্তন নিয়ে আসে মানুষ কে আল্লাহ এবং তার রাসুলের (স:) দেখানো পথ থেকে দূরে নিয়ে যায়,মূল চেড়ে দিয়ে নকল নিয়ে জীবনটা ভিন্ন পথে পরিচালনা করে তারাই বিদায়াত কারী।
কিন্তু শবে বরাত পালন কেন বিদায়াত হবে- এটাতো যারা করে তাদের আরো উত্সাহিত করা দরকার।যাতে তারা অন্তত একটি রাতে হলেও বেনামাজিরা নামাজি হয়। প্রত্যেক ভালো কাজের পাশে খারাপ করার জন্য শয়তান কে আল্লাহ জীবিত রেখেছেন।তাই হয়ত কিছু লোক অজ্ঞতার কারণে অনেক অপচন্দনীয় কাজ করে, তাই বলে যারা সারা রাত নির্গুমে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করে সব কিছু কী বিদায়াত হবে?
সুতরাং ভালো কাজে যারা নিরুত্সাহিত করে তাদের কথায় নিজেকে পরিচালনা না করে নিজের মেধা যা আল্লাহপাক আপনাকে দিয়েছেন তা দিয়ে বিচার করুন।সৎ কাজের আদেশ আর মনধ কাজে নিষেধ করাই যেন হয় আমাদের কাম্য।
➲ আমি চেষ্টা করেছি মাত্র আর সেই চেষ্টা সার্থক হবে তখনি যখন আপনার লেখাটি বুঝতে সহজ হবে। (সবাইকে অনুরোধ করছি ভুল হলে আমাকে জানাবেন প্লীজ)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন