══◉রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইলমে গায়েব◉══
✏ ইমরান বিন বদরী ≪
নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম,আম্মা বা’দ।
সৃষ্টির আদিকাল থেকে যুগে যুগে একত্ববাদের প্রচারে সত্য ও রিসালতের বাণী নিয়ে প্রেরিত হয়েছে অগনিত নবী ও রাসুল।একজন ঈমানদারের জন্য যেমনিভাবে আল্লাহর একত্ববাদের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ফরয, তেমনিভাবে তাঁর প্রিয় রাসূল বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী সাইয়্যিদুল মুরসালীন,নবী মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ঈমানের সহিত শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও আনুগত্য করা সমভাবে আবশ্যক।একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের ঈমানের মূলে থাকতে হবে হুব্বে রাসুল বা নবী প্রেম।কারণ নবী প্রেম না থাকলে মুমিন হওয়া যায়না।
═✼রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম বলেন,
✏ ইমরান বিন বদরী ≪
নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম,আম্মা বা’দ।
সৃষ্টির আদিকাল থেকে যুগে যুগে একত্ববাদের প্রচারে সত্য ও রিসালতের বাণী নিয়ে প্রেরিত হয়েছে অগনিত নবী ও রাসুল।একজন ঈমানদারের জন্য যেমনিভাবে আল্লাহর একত্ববাদের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ফরয, তেমনিভাবে তাঁর প্রিয় রাসূল বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী সাইয়্যিদুল মুরসালীন,নবী মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ঈমানের সহিত শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও আনুগত্য করা সমভাবে আবশ্যক।একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের ঈমানের মূলে থাকতে হবে হুব্বে রাসুল বা নবী প্রেম।কারণ নবী প্রেম না থাকলে মুমিন হওয়া যায়না।
═✼রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম বলেন,
عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা, তার সন্তান ও সব মানুষের অপেক্ষা অধিক প্রিয়পাত্র হই। (মুসলিম১ /১৬হাঃ৪৪,আহমদ১২৮১৪)
══সম্মানিত বন্ধুরা, লিখার শুরতেই বলে রাখি বিতর্ক নয়,আশাকরি প্রত্যেকে সম্মানের সহিত জানতে এবং জানাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এটাই কাম্য।আমি ক্ষুদ্র জ্ঞানে লিখার যোগ্যতা না থাকলেও সাহস করে একটু করে লিখতে সতেষ্ট হলাম।
◩ ইলমে গায়েব কি ◩
══ ইলমে গায়েব (عالم الغيب) বিষয়টি বুঝলে খুবই সহজ, আর না বুঝলে পাথরের চেয়েও কঠিন ও জটিল মনে হবে। না বুঝে এ নিয়ে বিতর্ক করতে গিয়ে অজ্ঞতা ও ভ্রান্তির ফলে মারাত্মক ধৃষ্টতা করে বসেন অনেকে। আমাদের ঈমানের মূলে মনে রাখতে হবে জগতের রব মহান আল্লাহ তাআলাই সত্ত্বাগত ভাবে জ্ঞানী। তিনি অবগত না করালে কেউ একটি অক্ষরও জানতে পারে না। ইলমে গায়েবের মূল উৎস হচ্ছেন মহান আল্লাহ সুবহানাহুতা’লা নিজেই। কেননা তিনিই হচ্ছেন অতীন্দ্রিয় পরম সত্তা। তাই তিনিই ইলমে গায়েবের সার্বিক বা পরম ভান্ডার। তাঁর এ জ্ঞান সত্তাগত,অর্থাৎ কোথা থেকে বা কারো কাছ থেকে অর্জিত নয়। কেননা তিনি সমাদ,অর্থাৎ অমুখাপেক্ষী বা স্বয়ংসম্পূর্ণ পরম সত্তা।মনে রাখতে হবে মহান আল্লাহ তা’আলার জ্ঞান সত্তাগত আর প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জ্ঞান আল্লাহ প্রদত্ত।
◉═এবার আসা যাক মূল আলোচনায়- ইলম গায়েবের (عالم الغيب) বাংলা অর্থ অদৃশ্য জ্ঞান হলেও সকল অদৃশ্য জ্ঞান গায়েব নয়। যেমন- আত্মা,আওয়াজ,গন্ধ,বাতাস,সুখ ,দুঃখ,ঘৃণা, জ্ঞান, উদ্দেশ্য ইত্যাদি সবই অদৃশ্য,কিন্তু ইলমে গায়েবের অন্তর্ভুক্ত নয়। ইলমে গায়েব অর্থ হচ্ছে,অতীন্দ্রিয় জ্ঞান; অর্থাৎ যা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বা ইন্দ্রিয়ের গোচরীভূত নয় তা-ই ইলমে গায়েব। যেমন-আল্লাহুতা’লার পরিচিতি, আরশ, কুরসি, লওহ, কলম, জান্নাত ও জাহান্নামের বিবরণ, হুর, ফেরেশতা ও জ্বীনের পরিচিতি, হাশর-নশর, মিজান, মাকামে মাহমুদা, সিদরাতুল মুন্তাহা, আলমে আরওয়াহ্ বা আত্মার জগতের বিবরণ,আলমে বারঝাখ বা কবরের জগতের বর্ণনা, আখেরাতের জীবনের বিবরণ,বায়তুল মা’মুর, পুনরুত্থান,পুলসিরাত,ভবিষ্য তের বর্ণনা ইত্যাদি সংক্রান্ত সকল জ্ঞানই ইলমে গায়েব বা অতীন্দ্রিয় জ্ঞান। নবী মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গায়েব দর্শনের পরম উৎস পবিত্র মীরাজের রাত।এরপরেও কি তাঁর আর কোন গায়েব জানা বাকি থাকতে পারে?
◩ পবিত্র কুরআনে করিমের আলোকে ইলমে গায়েব ◩
══ আল্লাহ তায়ালা বলেন- عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا
তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না। (ক্ষমতাবান করেন না)
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ প্রকৃত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা, তার সন্তান ও সব মানুষের অপেক্ষা অধিক প্রিয়পাত্র হই। (মুসলিম১ /১৬হাঃ৪৪,আহমদ১২৮১৪)
══সম্মানিত বন্ধুরা, লিখার শুরতেই বলে রাখি বিতর্ক নয়,আশাকরি প্রত্যেকে সম্মানের সহিত জানতে এবং জানাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এটাই কাম্য।আমি ক্ষুদ্র জ্ঞানে লিখার যোগ্যতা না থাকলেও সাহস করে একটু করে লিখতে সতেষ্ট হলাম।
◩ ইলমে গায়েব কি ◩
══ ইলমে গায়েব (عالم الغيب) বিষয়টি বুঝলে খুবই সহজ, আর না বুঝলে পাথরের চেয়েও কঠিন ও জটিল মনে হবে। না বুঝে এ নিয়ে বিতর্ক করতে গিয়ে অজ্ঞতা ও ভ্রান্তির ফলে মারাত্মক ধৃষ্টতা করে বসেন অনেকে। আমাদের ঈমানের মূলে মনে রাখতে হবে জগতের রব মহান আল্লাহ তাআলাই সত্ত্বাগত ভাবে জ্ঞানী। তিনি অবগত না করালে কেউ একটি অক্ষরও জানতে পারে না। ইলমে গায়েবের মূল উৎস হচ্ছেন মহান আল্লাহ সুবহানাহুতা’লা নিজেই। কেননা তিনিই হচ্ছেন অতীন্দ্রিয় পরম সত্তা। তাই তিনিই ইলমে গায়েবের সার্বিক বা পরম ভান্ডার। তাঁর এ জ্ঞান সত্তাগত,অর্থাৎ কোথা থেকে বা কারো কাছ থেকে অর্জিত নয়। কেননা তিনি সমাদ,অর্থাৎ অমুখাপেক্ষী বা স্বয়ংসম্পূর্ণ পরম সত্তা।মনে রাখতে হবে মহান আল্লাহ তা’আলার জ্ঞান সত্তাগত আর প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জ্ঞান আল্লাহ প্রদত্ত।
◉═এবার আসা যাক মূল আলোচনায়- ইলম গায়েবের (عالم الغيب) বাংলা অর্থ অদৃশ্য জ্ঞান হলেও সকল অদৃশ্য জ্ঞান গায়েব নয়। যেমন- আত্মা,আওয়াজ,গন্ধ,বাতাস,সুখ
◩ পবিত্র কুরআনে করিমের আলোকে ইলমে গায়েব ◩
══ আল্লাহ তায়ালা বলেন- عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا
তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না। (ক্ষমতাবান করেন না)
(সূরা জীন,আয়াত২৬)
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন এ আয়াত দ্বারা অদৃশ্যের জ্ঞান নিজ দায়িত্বে নিয়ে পরবর্তী আয়াতে বলেন তবে হাঁ -
◩ إِلَّا مَنِ ارْتَضَى مِن رَّسُولٍ فَإِنَّهُ يَسْلُكُ مِن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ رَصَدًا
কিন্তু তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন। (সূরা জীন,আয়াত ২৭)
অত্র আয়াতে যে মনোনীত রসুলের কথা বলা হয়ছে তাতে কী বুজা যায়না রাহমাতুল্লিল আলামিন নবীই সেই গায়েবের খবর জানা রসুল,যাকে প্রকাশ করা হয়েছে ইলমে গায়েব!
◉═গায়েব জানার আরেক উদাহরন ইন্দ্রিয়ের ভাইরে অবলোকন করা যেমন সুরা তাকবিরে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন- وَلَقَدْ رَآهُ بِالْأُفُقِ الْمُبِينِ তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন। (আয়াত ২৩)
শুধু তাই নয় হাদিসে জিব্রাইলে এই প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহে ওছাল্লামের উছিলায় সেই বৈঠকে অবস্থানরত অনান্য সাহাবীরাও হজরত জিব্রীল আমিনকে মানবীয় আকৃতিতে দেখেছেন।
◩ আল্লাহ তা‘আলা পরবর্তী আয়াতে আরো বলেন, وَمَا هُوَ عَلَى الْغَيْبِ بِضَنِينٍ
তিনি অদৃশ্য বিষয় বর্ণনা করার ব্যাপারে কৃপণ নন। (সূরা তাকভীর,আয়াত ২৪)
অত্র আয়াতে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ পাক বলেন غيب বা অদৃশ্য প্রকাশে তিনি কৃপণ নন।প্রশ্ন হচ্ছে গায়েব তথা অদৃশ্য বিষয় জানা না থাকলে প্রকাশ করেন কী করে? আল্লাহ পাক তার হাবীবকে জানান বলেই তো প্রকাশের কথা গুপন রাখেননি।
◩═ আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন
مَّا كَانَ اللّهُ لِيَذَرَ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى مَآ أَنتُمْ عَلَيْهِ حَتَّىَ يَمِيزَ الْخَبِيثَ مِنَ الطَّيِّبِ وَمَا كَانَ اللّهُ لِيُطْلِعَكُمْ عَلَى الْغَيْبِ وَلَكِنَّ اللّهَ يَجْتَبِي مِن رُّسُلِهِ مَن يَشَاء فَآمِنُواْ بِاللّهِ وَرُسُلِهِ وَإِن تُؤْمِنُواْ وَتَتَّقُواْ فَلَكُمْ أَجْرٌ عَظِيمٌ
আল্লাহ মুসলমানদের এ অবস্থায় ছাড়াবার নন যে অবস্থায় তোমরা রয়েছ যে পর্যন্ত না পৃথক করবেন অপবিত্রকে পবিত্র থেকে। আল্লাহর শান এ নয় যে, হে সর্বসাধারণ! তোমাদেরকে অদৃশ্যের জ্ঞান দিয়ে দিবেন। তবে আল্লাহ নির্বাচিত করেন তাঁর রাসূলগণের মধ্য থেকে যাকে চান। সুতরাং ঈমান আনয়ন কর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর; এবং যদি তোমরা ঈমান আনয়ন কর এবং পরহেজগারী অবলম্বন করো তবে তোমাদের জন্য মহা প্রতিদান রয়েছে। (সূরা আলে ইমরান আয়াত১৭৯)
◩═আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন
وَلَوْلاَ فَضْلُ اللّهِ عَلَيْكَ وَرَحْمَتُهُ لَهَمَّت طَّآئِفَةٌ مُّنْهُمْ أَن يُضِلُّوكَ وَمَا يُضِلُّونَ إِلاُّ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَضُرُّونَكَ مِن شَيْءٍ وَأَنزَلَ اللّهُ عَلَيْكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ وَكَانَ فَضْلُ اللّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا
যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া আপনার উপর না থাকত তবে তাদের মধ্যকার কিছু লোক এটা চাচ্ছে যে, আপনাকে ধোকা দিবে, এবং তারা নিজেরা নিজেদেরকেই পথভ্রষ্ট করেছে। এবং আপনার কোন কিছুই ক্ষতি করবে না আর আল্লাহ আপনার উপর কিতাব ও হিকমত অবর্তীন করেছেন। এবং আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন যা কিছু আপনি জানতেন না এবং আপনার উপর আল্লাহর মহা অনুগ্রহ রয়েছে।
(সূরা নিসা আয়াত ১১৩)
এ আয়াত وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ প্রসঙ্গে তাফসীরে জালালাইনে রয়েছে : اى من الاحكام والغيب
অর্থ :শরীয়তের বিধান ও ইলমে গায়েব শিক্ষা দিয়েছেন।
◩═আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টি জগতের সাক্ষী রূপে আরো বলেন
وَيَوْمَ نَبْعَثُ فِي كُلِّ أُمَّةٍ شَهِيدًا عَلَيْهِم مِّنْ أَنفُسِهِمْ وَجِئْنَا بِكَ شَهِيدًا عَلَى هَـؤُلاء وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِّكُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً وَبُشْرَى لِلْمُسْلِمِينَ
সেদিন প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে আমি একজন বর্ণনাকারী দাঁড় করাব তাদের বিপক্ষে তাদের মধ্য থেকেই এবং তাদের বিষয়ে আপনাকে সাক্ষী স্বরূপ উপস্থাপন করব। আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ।
(সূরা নাহ্ল আয়াত ৮৯)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। (সূরা আহযাব-৪৫)
◉═➲ উপরোক্ত আয়াতদ্বয়ে شَاهِدًا শব্দটি নিয়ে একটু চিন্তা করে দেখুন যে, কেও যদি প্রশ্ন করে সাক্ষী কি না দেখে দেওয়া যায়? উত্তর একটাই আসবে কখনো না। মিথ্যা--- কখনো সাক্ষী হতে পারেনা।
এবার আসুন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন.يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ হে নবী আমি আপনাকে সাক্ষী হিসেবে প্রেরণ করেছি।প্রশ্ন জাগে কীসের সাক্ষী ? শুধু কি ১৪০০ বছর আগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই ৬৩ বছর হায়াতের সাক্ষী নাকি সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সমস্ত কিছুর সাক্ষী। নিশ্চয় সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সমস্ত কিছুর সাক্ষী।যদি তাই না হয় فِي كُلِّ أُمَّةٍ পূর্ববর্তী পরবর্তীদের প্রত্যেক উম্মতের সাক্ষী হবেন কীভাবে? এতেই বুঝা যায় সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সবকিছু আমার নবীর নখদর্পনে। তাছাড়া أَرْسَلْنَاكَ আপনাকে প্রেরণ করেছি মানে দুনিয়া ও আখিরাতের সবকিছু দেখিয়ে সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির গুপন রহস্য অবলোকনকারী কেবল আপনি। এছাড়াও আলেমুল গায়বের (عَالِمُ الْغَيْبِ)অধিকারীর গায়েব প্রকাশ কেবল,আমার নবীর মাদ্যমেই হয়েছে ।আল্লাহ যা প্রকাশ করতে বলেছেন তাই প্রকাশ করেছেন আর যা প্রকাশ করতে বলেননি তিনি তা প্রকাশ করেননি যেমন- কুরআনে পাকের হরুফে মুকাত্তেয়াত গুলো তারই জলন্ত প্রমাণ যেমন:আলিফ.লাম. মীম,হা মীম,তোয়া হা.ইত্যাদি।
◩═ আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,وَعِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلاَّ يَعْلَمُهَا وَلاَ حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الأَرْضِ وَلاَ رَطْبٍ وَلاَ يَابِسٍ إِلاَّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে। (সূরাঃ আল-আন'আম ৫৯)
উপরোক্ত আয়াতের মর্মটা গভীরভাবে খেয়াল করে দেখুন যে আল্লাহ পাকের হুকুম ছাড়া কিছুই পরিবর্তন হয়না কারণ স্রষ্টাই জানে সৃষ্টির গুপন রহস্য যা আমি আগেই বলেছি।এই আয়াতের শেষে
আল্লাহ পাক বলেন -إِلاَّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে।
এখন জানতে হবে প্রকাশ্য গ্রন্থ কোনটা যাতে রয়েছে দৃশ্য অদৃশ্য সবকিছুর বর্ণনা।তা হচ্ছে পবিত্র কুরআনে করিম যা শিক্ষা দিয়েছেন আল্লাহ পাক তার প্রিয় হাবিবকে। যেমন,
আল্লাহ পাক বলেন- الرَّحْمَنُ করুনাময় আল্লাহ। عَلَّمَ الْقُرْآنَ শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন (সূরা আর রহমান ১-২)আর এটি এমন এক কিতাব (كِتَابٍ) যাতে কোনো সন্দেহ নেই।যেমন আল্লাহ পাক বলেন. ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। (সূরা বাক্বারাহ ২)
একবার ভেবে দেখুন যে কিতাব আজ আমাদের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করছেন তা কিন্তু এই নবীর (সল্লাল্লাহু আলাইহে ওছাল্লাম) মাদ্যমেই পেয়েছি।নবী সল্লাল্লাহু আলাইহে ওছাল্লাম যা সরাসরি বলেছেন তাই হাদিস শরীফ আর যা আল্লাহ পাক বলেছে বলেছেন তাই কালামুল্লাহ।সুতরাং এই পবিত্র কালামুল্লায় এমন কোনো জ্ঞান নেই যা আমার রাসুলের(সল্লাল্লাহু আলাইহে ওছাল্লাম) অজানা রয়েছে। ইলমে গায়েব যদি কোনো ইলেম হয়ে থাকে সে ইলম অবশ্যই আমার রাসুলের জানা আছে।
*******************
◩ হাদীস শরীফের আলোকে ইলমে গায়েব ◩
══ হাদিস শরীফটিতে দেখবেন সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুরা দরজা দিয়ে প্রবেশ করার পূর্বেই আল্লাহর নবী জানেন যে কে আছেন বাইরে এবং এও জানেন উনাদের ভবিষ্যত কি হবে। সুবহানাল্লাহ !!
উনারা সবাই পৃথিবীতে যে ১০ জন সাহাবা জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন তাদের অন্যতম এবং খলিফাতুল মুসলেমিন।
عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّهُ كَانَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي حَائِطٍ مِنْ حِيطَانِ الْمَدِينَةِ، وَفِي يَدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عُودٌ يَضْرِبُ بِهِ بَيْنَ الْمَاءِ وَالطِّينِ، فَجَاءَ رَجُلٌ يَسْتَفْتِحُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". فَذَهَبْتُ فَإِذَا أَبُو بَكْرٍ، فَفَتَحْتُ لَهُ وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ، ثُمَّ اسْتَفْتَحَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ " افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". فَإِذَا عُمَرُ، فَفَتَحْتُ لَهُ وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ، ثُمَّ اسْتَفْتَحَ رَجُلٌ آخَرُ، وَكَانَ مُتَّكِئًا فَجَلَسَ فَقَالَ " افْتَحْ {لَهُ} وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ، عَلَى بَلْوَى تُصِيبُهُ أَوْ تَكُونُ ". فَذَهَبْتُ فَإِذَا عُثْمَانُ، فَفَتَحْتُ لَهُ، وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ، فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ. قَالَ اللَّهُ الْمُسْتَعَانُ.
═✼মূসা’দ্দাদ (রহঃ) হজরত আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।
একবার তিনি মদিনার কোন এক বাগানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর হাতে একটা লাঠি ছিল। তিনি তা দিয়ে পানি ও কাদার মাঝে ঠোকা দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যাক্তি এসে দরজা খোলার অনুমতি চাইলেন।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তার জন্য খূলে দাও এবং তাকে জান্নাতের সংবাদ দাও। তখন আমি গিয়ে দেখলাম ষে,তিনি আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু।আমি তার জন্য দরজা খূলে দিলাম এবং জান্নাতের সংবাদ দিলাম।
তারপর আরেক ব্যাক্তি দরজা খোলার অনুমতি চাইলেন।তিনি বললেন,খুলে দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।
তখন দেখলাম, তিনি উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু। আমি তাকে দরজা খুলে দিলাম এবং জান্নাতের সুসংবাদ জানালাম ।
আবার আরেক ব্যাক্তি দরজা খোলার অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি হেলান দিয়েছিলেন।
তিনি সোজা হয়ে বসে বললেনঃ খুলে দাও এবং তাকে (দুনিয়াতে) একটি কঠিন বিপদের সন্মুখিন হওয়ার মাধ্যমে জান্নাতবাসী হওয়া সুসংবাদ দাও।
আমি গিয়ে দেখি,তিনি উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু আমি তাকেও দরজা খুলে দিলাম এবং জান্নাতের শুভ সংবাদ দিলাম। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা ভবিষ্যৎ বানী, করেন, আমি তাও বর্ণনা করলাম।
তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা আমার সহায়ক ।(ইমাম ইসমাইল বুখারী (রঃ)উনার বিখ্যাত সহীহ বুখারীতে হাদিস শরীফটি উল্লেখ করেছেন/ইফাঃ৫৭৮৩/৫৬৭০)।
قَامَ فِيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَامًا فَاَخْبَرَنَا عَنْ بَدْءِ لْخَلْقِ حَتَّى دَخَلَ اَهْلُ الْجَنَّةِ مَنَازِ لَهُمْ وَ اَهْلُ النَّارِ مَنَازِ لَهُمْ حَفِظَ ذلِكَ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ
-(رواه البخارى)-
═✼হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে দাঁড়িয়া ছিলেন তিনি (স:) আমাদেরকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কে কে জান্নাতে যাবে, তাদের স্থানসমূহ বলে দিলেন। এবং কে কে জাহান্নামে যাবে তাদের স্থানসমূহ বলে দিলেন। তাদের মধ্যে যারা স্মরণ রাখার স্মরণ রেখেছে যারা ভুলার ভুল গেছে।(মিশকাত ৫০৬পৃষ্ঠা /সহীহ বুখারী)
سَمِعْتُ حَارِثَةَ بْنَ وَهْبٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ تَصَدَّقُوا فَسَيَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَمْشِي الرَّجُلُ بِصَدَقَتِهِ فَلاَ يَجِدُ مَنْ يَقْبَلُهَا
═✼হযরত হারিসা ইবনু ওয়াহব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা সাদাকা কর। কেননা, শীঘ্রই এমন এক সময় আসবে যে মানুষ সদাকাহ নিয়ে ঘোরাফেরা করবে কিন্তু সদাকাহ গ্রহণ করে।এমন কাউকে পাবে না। (সহীহ বুখারী ই:ফা৬৬৩৫)
(আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম‘র এ ভবিষ্যৎবাণী ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু’র যামানায় পূর্ণ হতে দেখা গিয়েছিল।)
وعن انس رضى الله تعلى عنه: قال نعى النبى صلى الله عليه و سلم زيدا وجعفرا وابن روحة للناس قبل ان ياتيهم خبرهم فقال اخذ الراية زيد فاصيب ثم اخذ جعفر فاصيب ثم اخذ ابن رواحة فاصيب وعيناه تذر فان حتى اخذ الراية سيف من سيوف الله يعنى خالد بن الوليد عليه فتح الله عليهم -(رواه البخارى)
═✼হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,যায়েদ ইবনে হারেসা,জাফর ইবনে আবু তালিব ও আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহার মৃত্যু সংবাদ যুদ্ধের ময়দান থেকে আসার পূর্বেই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন রণক্ষেত্রের বিবরণ। তিনি এভাবে দিয়েছেন, যায়েদ পতাকা হাতে নিয়েছে, সেও শহীদ হয়েছে। অতপর আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা পতাকা ধরেছে, সেও শহীদ হয়েছে। (রাবি বলেন) এই সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চক্ষুদ্বয় থেকে অশ্রুধারা প্রবাহিত হচ্ছিল। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর তরবারি সমূহের এক তরবারি (অর্থাৎ খালিদ ইবনে ওয়ালীদ) ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়েছেন। তারপর আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের উপর মুসলমানদেরকে বিজয় দান করেছেন। (মিশকাত পৃষ্ঠা ৫৩৩/সহীহ বুখারী)
وعن عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه: ان رسول الله صلى الله عليه و سلم قال: ان رجلا يأتيكم من اليمن يقال له اويس لايدع باليمن غير ام له قد كان به بياض فدعا الله فاذهبه الاموضع الدنيا راو الدهم فمن لقيه منكم فليستغفر لكم و فى رواية قال سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم: يقول ان خير التابعين رجل يقال له اويس وله والدة وكان به بياض فمروه فليستغفرلكم- (رواه مسلم)
═✼হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইয়ামান দেশ থেকে এক ব্যক্তি তোমাদের কাছে আসবে। তাঁর নাম হবে “ওয়াইস”।একজন মাতা ছাড়া ইয়ামান দেশে তাঁর আর কোন নিকটতম আত্নীয়-স্বজন থাকবে না। তাঁর দেহে ছিল শ্বেত-ব্যাধি। এজন্য তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। ফলে এক দিরহাম অথবা এক দীনার পরিমান জায়গা ছাড়া আল্লাহ তায়ালা তাঁর সেই রোগটি দূর করে দিয়েছেন। সুতরাং তোমরা যে কেউ তাঁর সাক্ষাত পাবে, সে যেন নিজের মাগফিরাতের জন্য তাঁর কাছে দোয়া প্রার্থনা করবে। অপর এক বর্ণনায় আছে হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু বলেছেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তাবেয়ীদের মধ্যে সর্বোত্তম এক ব্যক্তি তাঁর নাম ওয়াইসা, তাঁর শুধু একজন মা রয়েছে, এবং তাঁর শরীরে শ্বেত দাগ থাকবে। সুতরাং তোমরা নিজেদের মাগফিরাতের দোয়ার জন্য তাঁর কাছে অনুরোধ করবে।(সহীহ মুসলিম/মিশকাত পৃষ্ঠা ৫৮১)
وعن جابر رضى الله عنه قال رايت النبى صلى الله عليه و سلم يرمى على راحلته يوم النحر و يقول لتاخذ وامنا سككم فانى لاادرى بعلى لا احج بعد حجتى هذه-(رواه المسلم)
═✼হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু বলেন, আমি রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে দেখেছি কোরবানী দিন তিনি আরোহণে থেকে কাকর মারছেন এবং বললেন তোমরা আমার কাছ থেকে তোমাদের হজ্জ্বের আহকাম শিখে নাও। আমি জানি না সম্ভবত আমার এ হজ্জ্বের পর আর আমি হজ্জ্ব করতে পারব না।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন এ আয়াত দ্বারা অদৃশ্যের জ্ঞান নিজ দায়িত্বে নিয়ে পরবর্তী আয়াতে বলেন তবে হাঁ -
◩ إِلَّا مَنِ ارْتَضَى مِن رَّسُولٍ فَإِنَّهُ يَسْلُكُ مِن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ رَصَدًا
কিন্তু তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন। (সূরা জীন,আয়াত ২৭)
অত্র আয়াতে যে মনোনীত রসুলের কথা বলা হয়ছে তাতে কী বুজা যায়না রাহমাতুল্লিল আলামিন নবীই সেই গায়েবের খবর জানা রসুল,যাকে প্রকাশ করা হয়েছে ইলমে গায়েব!
◉═গায়েব জানার আরেক উদাহরন ইন্দ্রিয়ের ভাইরে অবলোকন করা যেমন সুরা তাকবিরে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন- وَلَقَدْ رَآهُ بِالْأُفُقِ الْمُبِينِ তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন। (আয়াত ২৩)
শুধু তাই নয় হাদিসে জিব্রাইলে এই প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহে ওছাল্লামের উছিলায় সেই বৈঠকে অবস্থানরত অনান্য সাহাবীরাও হজরত জিব্রীল আমিনকে মানবীয় আকৃতিতে দেখেছেন।
◩ আল্লাহ তা‘আলা পরবর্তী আয়াতে আরো বলেন, وَمَا هُوَ عَلَى الْغَيْبِ بِضَنِينٍ
তিনি অদৃশ্য বিষয় বর্ণনা করার ব্যাপারে কৃপণ নন। (সূরা তাকভীর,আয়াত ২৪)
অত্র আয়াতে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ পাক বলেন غيب বা অদৃশ্য প্রকাশে তিনি কৃপণ নন।প্রশ্ন হচ্ছে গায়েব তথা অদৃশ্য বিষয় জানা না থাকলে প্রকাশ করেন কী করে? আল্লাহ পাক তার হাবীবকে জানান বলেই তো প্রকাশের কথা গুপন রাখেননি।
◩═ আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন
مَّا كَانَ اللّهُ لِيَذَرَ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى مَآ أَنتُمْ عَلَيْهِ حَتَّىَ يَمِيزَ الْخَبِيثَ مِنَ الطَّيِّبِ وَمَا كَانَ اللّهُ لِيُطْلِعَكُمْ عَلَى الْغَيْبِ وَلَكِنَّ اللّهَ يَجْتَبِي مِن رُّسُلِهِ مَن يَشَاء فَآمِنُواْ بِاللّهِ وَرُسُلِهِ وَإِن تُؤْمِنُواْ وَتَتَّقُواْ فَلَكُمْ أَجْرٌ عَظِيمٌ
আল্লাহ মুসলমানদের এ অবস্থায় ছাড়াবার নন যে অবস্থায় তোমরা রয়েছ যে পর্যন্ত না পৃথক করবেন অপবিত্রকে পবিত্র থেকে। আল্লাহর শান এ নয় যে, হে সর্বসাধারণ! তোমাদেরকে অদৃশ্যের জ্ঞান দিয়ে দিবেন। তবে আল্লাহ নির্বাচিত করেন তাঁর রাসূলগণের মধ্য থেকে যাকে চান। সুতরাং ঈমান আনয়ন কর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর; এবং যদি তোমরা ঈমান আনয়ন কর এবং পরহেজগারী অবলম্বন করো তবে তোমাদের জন্য মহা প্রতিদান রয়েছে। (সূরা আলে ইমরান আয়াত১৭৯)
◩═আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন
وَلَوْلاَ فَضْلُ اللّهِ عَلَيْكَ وَرَحْمَتُهُ لَهَمَّت طَّآئِفَةٌ مُّنْهُمْ أَن يُضِلُّوكَ وَمَا يُضِلُّونَ إِلاُّ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَضُرُّونَكَ مِن شَيْءٍ وَأَنزَلَ اللّهُ عَلَيْكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ وَكَانَ فَضْلُ اللّهِ عَلَيْكَ عَظِيمًا
যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া আপনার উপর না থাকত তবে তাদের মধ্যকার কিছু লোক এটা চাচ্ছে যে, আপনাকে ধোকা দিবে, এবং তারা নিজেরা নিজেদেরকেই পথভ্রষ্ট করেছে। এবং আপনার কোন কিছুই ক্ষতি করবে না আর আল্লাহ আপনার উপর কিতাব ও হিকমত অবর্তীন করেছেন। এবং আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন যা কিছু আপনি জানতেন না এবং আপনার উপর আল্লাহর মহা অনুগ্রহ রয়েছে।
(সূরা নিসা আয়াত ১১৩)
এ আয়াত وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُ প্রসঙ্গে তাফসীরে জালালাইনে রয়েছে : اى من الاحكام والغيب
অর্থ :শরীয়তের বিধান ও ইলমে গায়েব শিক্ষা দিয়েছেন।
◩═আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টি জগতের সাক্ষী রূপে আরো বলেন
وَيَوْمَ نَبْعَثُ فِي كُلِّ أُمَّةٍ شَهِيدًا عَلَيْهِم مِّنْ أَنفُسِهِمْ وَجِئْنَا بِكَ شَهِيدًا عَلَى هَـؤُلاء وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِّكُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً وَبُشْرَى لِلْمُسْلِمِينَ
সেদিন প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে আমি একজন বর্ণনাকারী দাঁড় করাব তাদের বিপক্ষে তাদের মধ্য থেকেই এবং তাদের বিষয়ে আপনাকে সাক্ষী স্বরূপ উপস্থাপন করব। আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ।
(সূরা নাহ্ল আয়াত ৮৯)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। (সূরা আহযাব-৪৫)
◉═➲ উপরোক্ত আয়াতদ্বয়ে شَاهِدًا শব্দটি নিয়ে একটু চিন্তা করে দেখুন যে, কেও যদি প্রশ্ন করে সাক্ষী কি না দেখে দেওয়া যায়? উত্তর একটাই আসবে কখনো না। মিথ্যা--- কখনো সাক্ষী হতে পারেনা।
এবার আসুন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন.يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ হে নবী আমি আপনাকে সাক্ষী হিসেবে প্রেরণ করেছি।প্রশ্ন জাগে কীসের সাক্ষী ? শুধু কি ১৪০০ বছর আগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই ৬৩ বছর হায়াতের সাক্ষী নাকি সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সমস্ত কিছুর সাক্ষী। নিশ্চয় সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সমস্ত কিছুর সাক্ষী।যদি তাই না হয় فِي كُلِّ أُمَّةٍ পূর্ববর্তী পরবর্তীদের প্রত্যেক উম্মতের সাক্ষী হবেন কীভাবে? এতেই বুঝা যায় সৃষ্টির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সবকিছু আমার নবীর নখদর্পনে। তাছাড়া أَرْسَلْنَاكَ আপনাকে প্রেরণ করেছি মানে দুনিয়া ও আখিরাতের সবকিছু দেখিয়ে সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টির গুপন রহস্য অবলোকনকারী কেবল আপনি। এছাড়াও আলেমুল গায়বের (عَالِمُ الْغَيْبِ)অধিকারীর গায়েব প্রকাশ কেবল,আমার নবীর মাদ্যমেই হয়েছে ।আল্লাহ যা প্রকাশ করতে বলেছেন তাই প্রকাশ করেছেন আর যা প্রকাশ করতে বলেননি তিনি তা প্রকাশ করেননি যেমন- কুরআনে পাকের হরুফে মুকাত্তেয়াত গুলো তারই জলন্ত প্রমাণ যেমন:আলিফ.লাম. মীম,হা মীম,তোয়া হা.ইত্যাদি।
◩═ আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,وَعِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلاَّ يَعْلَمُهَا وَلاَ حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الأَرْضِ وَلاَ رَطْبٍ وَلاَ يَابِسٍ إِلاَّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে। (সূরাঃ আল-আন'আম ৫৯)
উপরোক্ত আয়াতের মর্মটা গভীরভাবে খেয়াল করে দেখুন যে আল্লাহ পাকের হুকুম ছাড়া কিছুই পরিবর্তন হয়না কারণ স্রষ্টাই জানে সৃষ্টির গুপন রহস্য যা আমি আগেই বলেছি।এই আয়াতের শেষে
আল্লাহ পাক বলেন -إِلاَّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে।
এখন জানতে হবে প্রকাশ্য গ্রন্থ কোনটা যাতে রয়েছে দৃশ্য অদৃশ্য সবকিছুর বর্ণনা।তা হচ্ছে পবিত্র কুরআনে করিম যা শিক্ষা দিয়েছেন আল্লাহ পাক তার প্রিয় হাবিবকে। যেমন,
আল্লাহ পাক বলেন- الرَّحْمَنُ করুনাময় আল্লাহ। عَلَّمَ الْقُرْآنَ শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন (সূরা আর রহমান ১-২)আর এটি এমন এক কিতাব (كِتَابٍ) যাতে কোনো সন্দেহ নেই।যেমন আল্লাহ পাক বলেন. ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। (সূরা বাক্বারাহ ২)
একবার ভেবে দেখুন যে কিতাব আজ আমাদের পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করছেন তা কিন্তু এই নবীর (সল্লাল্লাহু আলাইহে ওছাল্লাম) মাদ্যমেই পেয়েছি।নবী সল্লাল্লাহু আলাইহে ওছাল্লাম যা সরাসরি বলেছেন তাই হাদিস শরীফ আর যা আল্লাহ পাক বলেছে বলেছেন তাই কালামুল্লাহ।সুতরাং এই পবিত্র কালামুল্লায় এমন কোনো জ্ঞান নেই যা আমার রাসুলের(সল্লাল্লাহু আলাইহে ওছাল্লাম) অজানা রয়েছে। ইলমে গায়েব যদি কোনো ইলেম হয়ে থাকে সে ইলম অবশ্যই আমার রাসুলের জানা আছে।
*******************
◩ হাদীস শরীফের আলোকে ইলমে গায়েব ◩
══ হাদিস শরীফটিতে দেখবেন সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুরা দরজা দিয়ে প্রবেশ করার পূর্বেই আল্লাহর নবী জানেন যে কে আছেন বাইরে এবং এও জানেন উনাদের ভবিষ্যত কি হবে। সুবহানাল্লাহ !!
উনারা সবাই পৃথিবীতে যে ১০ জন সাহাবা জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন তাদের অন্যতম এবং খলিফাতুল মুসলেমিন।
عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّهُ كَانَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي حَائِطٍ مِنْ حِيطَانِ الْمَدِينَةِ، وَفِي يَدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عُودٌ يَضْرِبُ بِهِ بَيْنَ الْمَاءِ وَالطِّينِ، فَجَاءَ رَجُلٌ يَسْتَفْتِحُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". فَذَهَبْتُ فَإِذَا أَبُو بَكْرٍ، فَفَتَحْتُ لَهُ وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ، ثُمَّ اسْتَفْتَحَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ " افْتَحْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ ". فَإِذَا عُمَرُ، فَفَتَحْتُ لَهُ وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ، ثُمَّ اسْتَفْتَحَ رَجُلٌ آخَرُ، وَكَانَ مُتَّكِئًا فَجَلَسَ فَقَالَ " افْتَحْ {لَهُ} وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ، عَلَى بَلْوَى تُصِيبُهُ أَوْ تَكُونُ ". فَذَهَبْتُ فَإِذَا عُثْمَانُ، فَفَتَحْتُ لَهُ، وَبَشَّرْتُهُ بِالْجَنَّةِ، فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ. قَالَ اللَّهُ الْمُسْتَعَانُ.
═✼মূসা’দ্দাদ (রহঃ) হজরত আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।
একবার তিনি মদিনার কোন এক বাগানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর হাতে একটা লাঠি ছিল। তিনি তা দিয়ে পানি ও কাদার মাঝে ঠোকা দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যাক্তি এসে দরজা খোলার অনুমতি চাইলেন।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তার জন্য খূলে দাও এবং তাকে জান্নাতের সংবাদ দাও। তখন আমি গিয়ে দেখলাম ষে,তিনি আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু।আমি তার জন্য দরজা খূলে দিলাম এবং জান্নাতের সংবাদ দিলাম।
তারপর আরেক ব্যাক্তি দরজা খোলার অনুমতি চাইলেন।তিনি বললেন,খুলে দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।
তখন দেখলাম, তিনি উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু। আমি তাকে দরজা খুলে দিলাম এবং জান্নাতের সুসংবাদ জানালাম ।
আবার আরেক ব্যাক্তি দরজা খোলার অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি হেলান দিয়েছিলেন।
তিনি সোজা হয়ে বসে বললেনঃ খুলে দাও এবং তাকে (দুনিয়াতে) একটি কঠিন বিপদের সন্মুখিন হওয়ার মাধ্যমে জান্নাতবাসী হওয়া সুসংবাদ দাও।
আমি গিয়ে দেখি,তিনি উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু আমি তাকেও দরজা খুলে দিলাম এবং জান্নাতের শুভ সংবাদ দিলাম। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা ভবিষ্যৎ বানী, করেন, আমি তাও বর্ণনা করলাম।
তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা আমার সহায়ক ।(ইমাম ইসমাইল বুখারী (রঃ)উনার বিখ্যাত সহীহ বুখারীতে হাদিস শরীফটি উল্লেখ করেছেন/ইফাঃ৫৭৮৩/৫৬৭০)।
قَامَ فِيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَامًا فَاَخْبَرَنَا عَنْ بَدْءِ لْخَلْقِ حَتَّى دَخَلَ اَهْلُ الْجَنَّةِ مَنَازِ لَهُمْ وَ اَهْلُ النَّارِ مَنَازِ لَهُمْ حَفِظَ ذلِكَ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ
-(رواه البخارى)-
═✼হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে দাঁড়িয়া ছিলেন তিনি (স:) আমাদেরকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কে কে জান্নাতে যাবে, তাদের স্থানসমূহ বলে দিলেন। এবং কে কে জাহান্নামে যাবে তাদের স্থানসমূহ বলে দিলেন। তাদের মধ্যে যারা স্মরণ রাখার স্মরণ রেখেছে যারা ভুলার ভুল গেছে।(মিশকাত ৫০৬পৃষ্ঠা /সহীহ বুখারী)
سَمِعْتُ حَارِثَةَ بْنَ وَهْبٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ تَصَدَّقُوا فَسَيَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَمْشِي الرَّجُلُ بِصَدَقَتِهِ فَلاَ يَجِدُ مَنْ يَقْبَلُهَا
═✼হযরত হারিসা ইবনু ওয়াহব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা সাদাকা কর। কেননা, শীঘ্রই এমন এক সময় আসবে যে মানুষ সদাকাহ নিয়ে ঘোরাফেরা করবে কিন্তু সদাকাহ গ্রহণ করে।এমন কাউকে পাবে না। (সহীহ বুখারী ই:ফা৬৬৩৫)
(আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম‘র এ ভবিষ্যৎবাণী ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু’র যামানায় পূর্ণ হতে দেখা গিয়েছিল।)
وعن انس رضى الله تعلى عنه: قال نعى النبى صلى الله عليه و سلم زيدا وجعفرا وابن روحة للناس قبل ان ياتيهم خبرهم فقال اخذ الراية زيد فاصيب ثم اخذ جعفر فاصيب ثم اخذ ابن رواحة فاصيب وعيناه تذر فان حتى اخذ الراية سيف من سيوف الله يعنى خالد بن الوليد عليه فتح الله عليهم -(رواه البخارى)
═✼হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,যায়েদ ইবনে হারেসা,জাফর ইবনে আবু তালিব ও আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহার মৃত্যু সংবাদ যুদ্ধের ময়দান থেকে আসার পূর্বেই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন রণক্ষেত্রের বিবরণ। তিনি এভাবে দিয়েছেন, যায়েদ পতাকা হাতে নিয়েছে, সেও শহীদ হয়েছে। অতপর আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা পতাকা ধরেছে, সেও শহীদ হয়েছে। (রাবি বলেন) এই সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চক্ষুদ্বয় থেকে অশ্রুধারা প্রবাহিত হচ্ছিল। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর তরবারি সমূহের এক তরবারি (অর্থাৎ খালিদ ইবনে ওয়ালীদ) ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়েছেন। তারপর আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের উপর মুসলমানদেরকে বিজয় দান করেছেন। (মিশকাত পৃষ্ঠা ৫৩৩/সহীহ বুখারী)
وعن عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه: ان رسول الله صلى الله عليه و سلم قال: ان رجلا يأتيكم من اليمن يقال له اويس لايدع باليمن غير ام له قد كان به بياض فدعا الله فاذهبه الاموضع الدنيا راو الدهم فمن لقيه منكم فليستغفر لكم و فى رواية قال سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم: يقول ان خير التابعين رجل يقال له اويس وله والدة وكان به بياض فمروه فليستغفرلكم- (رواه مسلم)
═✼হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইয়ামান দেশ থেকে এক ব্যক্তি তোমাদের কাছে আসবে। তাঁর নাম হবে “ওয়াইস”।একজন মাতা ছাড়া ইয়ামান দেশে তাঁর আর কোন নিকটতম আত্নীয়-স্বজন থাকবে না। তাঁর দেহে ছিল শ্বেত-ব্যাধি। এজন্য তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। ফলে এক দিরহাম অথবা এক দীনার পরিমান জায়গা ছাড়া আল্লাহ তায়ালা তাঁর সেই রোগটি দূর করে দিয়েছেন। সুতরাং তোমরা যে কেউ তাঁর সাক্ষাত পাবে, সে যেন নিজের মাগফিরাতের জন্য তাঁর কাছে দোয়া প্রার্থনা করবে। অপর এক বর্ণনায় আছে হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু বলেছেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তাবেয়ীদের মধ্যে সর্বোত্তম এক ব্যক্তি তাঁর নাম ওয়াইসা, তাঁর শুধু একজন মা রয়েছে, এবং তাঁর শরীরে শ্বেত দাগ থাকবে। সুতরাং তোমরা নিজেদের মাগফিরাতের দোয়ার জন্য তাঁর কাছে অনুরোধ করবে।(সহীহ মুসলিম/মিশকাত পৃষ্ঠা ৫৮১)
وعن جابر رضى الله عنه قال رايت النبى صلى الله عليه و سلم يرمى على راحلته يوم النحر و يقول لتاخذ وامنا سككم فانى لاادرى بعلى لا احج بعد حجتى هذه-(رواه المسلم)
═✼হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু বলেন, আমি রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে দেখেছি কোরবানী দিন তিনি আরোহণে থেকে কাকর মারছেন এবং বললেন তোমরা আমার কাছ থেকে তোমাদের হজ্জ্বের আহকাম শিখে নাও। আমি জানি না সম্ভবত আমার এ হজ্জ্বের পর আর আমি হজ্জ্ব করতে পারব না।
(সহীহ বুখারী ও মুসলিম/মিশকাত পৃষ্ঠা ২৩০)।
◉═➲ পরিশেষে বিশ্ববিখ্যাত কসিদায়ে বুর্দার প্রণেতা ইমাম শরফুদ্দিন বু'চিরীর (র:) নবী প্রেমে সিক্ত কয়েকটি লাইন দিয়ে শেষ করবো,
فَاِنَّ مِنْ جُوْدِكَ الدُّنْيَا وَضَرَّتَهَا – وَمِنْ عُلُوْمِكَ عِلْمُ اللَّوْحِ وَالْقَلَمِ
অর্থাৎ হে রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আপনার বদান্যতায় দুনিয়া ও আখিরাতের অস্তিত্ব। লওহে মাহফুজ ও ‘কলমের’ জ্ঞান আপনার জ্ঞান ভাণ্ডারের কিয়দাংশ মাত্র।
وَسِعَ الْعَالَمِيْنَ عِلْمًا وَّ حِكْمًا-فَهُوَ بَحْرٌ لَّمْ تَعِيْهَا الْاَعْبَاءُ
অর্থাৎ হুযুর আলাইহিস সালামের জ্ঞান-বিজ্ঞান সমগ্র জগতকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে। তিনি হচ্ছেন এমন এক সাগর যাকে অন্যান্য পরিবেষ্টনকারীরাও পরিবেষ্টন করতে পারেননি।
وَكُلُّهُمْ مِنْ رَّسُوْلِ اللهِ مُلْتَمِسٌ-
غَرْفًا مِّنَ الْبَحْرِ اَوْ رَشْفًا مِنَ الدِّيْمِ
অর্থাৎ সবাই হুযুর আলাইহিস সালামের নিকট থেকে জ্ঞান আহরণ করে থাকেন, যেমন কেউ সমুদ্র থেকে কলসি ভরে বা প্রবল বৃষ্টি ধারার ছিটে ফোঁটা থেকে পানি সংগ্রহ করে।
◉ইলমে গায়েবের দালিলিক চিন্তা না করে আকলিক চিন্তা করলেই যতেষ্ট। যেমন:কেও যদি প্রশ্ন করে- আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে কেও কি দেখছেন? উত্তর আসবে না দেখেনি।(মুসা (আ:) দেখতে চেয়েও পারেনি)
প্রশ্ন.সেই মহান গায়েবের (আল্লাহ রাব্বুল আলামিন) খবর কে দিয়েছেন?
উত্তর আসবে তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছেন।
এভাবে বেহেস্ত,দুযখ,ফেরেস্তা,কিয়া মত,ওহি,কুরআন(আল্লাহর বাণী) সবকিছুই গায়েব ছিলো।
যার প্রকাশ কেবল এই নবীই (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) করেছেন। আজ সেই মহান গায়েবের খবর দেওয়া নবীর কাছে ইলমে গায়েব আছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলছি তারই উম্মত হয়ে আমরা।
কী হতভাগ্য উম্মর আমরা! যাকে শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করেছেন সেই রাহমাতুল্লিল আলামিনের জ্ঞানকে সীমিত করতে চেস্টায় আছি।যা নেই অন্য কোনো নবীর উম্মত তথা ইহুদি ক্রিস্টানদের মাঝে। এবার আসুন যদি কোনো বিধর্মী আপনাকে প্রশ্ন করে তোমাদের নবী যা বলেছে সব মিথ্যে এর প্রমান কী আছে সত্যতার? তখন আপনি বলবেন কুরআনে আছে সত্যতার প্রমান। তখন সে যদি আপনার কুরআনকে অস্বীকার করে তখন কি করবেন? যা আজ থেকে ১৪০০বছর আগেও অস্বীকার করেছিলো।যারা তখন (১৪০০বছর আগে)এই গায়েবের খবর দেওয়া নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা বিশ্বাস করেছেন তারাই মুসলমান হয়ে হজরত আবু বকর সিদ্দীক রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু হয়েছিলো আর যারা করেনি তারাই কাফের হয়ে আবু জেহেল হয়েছিলো।আমাদের সল্প জ্ঞানে নবীর(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)ইলমকে পরিমাপ করা একজন মুসলমান হিসেবে আদৌ ঠিক নয়।
➲ হে আল্লাহ আমাদের সেই সব নবী প্রেমিকদের দলে পরিনত করো,যারা হজরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহুর মত নবী প্রেমে সিক্ত হয়ে তোমার হাবিবকে ভালোবাসতে পারে।
(বন্ধুরা আমরা কেও ভুলের ঊর্ধে নই,আমার লেখাতেও ভুল হতে পারে।আমি চেষ্ঠাকরি সত্যটাকে উপলব্দি করতে আর তাই মনের অজান্তে জ্ঞানের স্বল্পতায় ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)
◉═➲ পরিশেষে বিশ্ববিখ্যাত কসিদায়ে বুর্দার প্রণেতা ইমাম শরফুদ্দিন বু'চিরীর (র:) নবী প্রেমে সিক্ত কয়েকটি লাইন দিয়ে শেষ করবো,
فَاِنَّ مِنْ جُوْدِكَ الدُّنْيَا وَضَرَّتَهَا – وَمِنْ عُلُوْمِكَ عِلْمُ اللَّوْحِ وَالْقَلَمِ
অর্থাৎ হে রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আপনার বদান্যতায় দুনিয়া ও আখিরাতের অস্তিত্ব। লওহে মাহফুজ ও ‘কলমের’ জ্ঞান আপনার জ্ঞান ভাণ্ডারের কিয়দাংশ মাত্র।
وَسِعَ الْعَالَمِيْنَ عِلْمًا وَّ حِكْمًا-فَهُوَ بَحْرٌ لَّمْ تَعِيْهَا الْاَعْبَاءُ
অর্থাৎ হুযুর আলাইহিস সালামের জ্ঞান-বিজ্ঞান সমগ্র জগতকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে। তিনি হচ্ছেন এমন এক সাগর যাকে অন্যান্য পরিবেষ্টনকারীরাও পরিবেষ্টন করতে পারেননি।
وَكُلُّهُمْ مِنْ رَّسُوْلِ اللهِ مُلْتَمِسٌ-
غَرْفًا مِّنَ الْبَحْرِ اَوْ رَشْفًا مِنَ الدِّيْمِ
অর্থাৎ সবাই হুযুর আলাইহিস সালামের নিকট থেকে জ্ঞান আহরণ করে থাকেন, যেমন কেউ সমুদ্র থেকে কলসি ভরে বা প্রবল বৃষ্টি ধারার ছিটে ফোঁটা থেকে পানি সংগ্রহ করে।
◉ইলমে গায়েবের দালিলিক চিন্তা না করে আকলিক চিন্তা করলেই যতেষ্ট। যেমন:কেও যদি প্রশ্ন করে- আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে কেও কি দেখছেন? উত্তর আসবে না দেখেনি।(মুসা (আ:) দেখতে চেয়েও পারেনি)
প্রশ্ন.সেই মহান গায়েবের (আল্লাহ রাব্বুল আলামিন) খবর কে দিয়েছেন?
উত্তর আসবে তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছেন।
এভাবে বেহেস্ত,দুযখ,ফেরেস্তা,কিয়া
যার প্রকাশ কেবল এই নবীই (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) করেছেন। আজ সেই মহান গায়েবের খবর দেওয়া নবীর কাছে ইলমে গায়েব আছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলছি তারই উম্মত হয়ে আমরা।
কী হতভাগ্য উম্মর আমরা! যাকে শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করেছেন সেই রাহমাতুল্লিল আলামিনের জ্ঞানকে সীমিত করতে চেস্টায় আছি।যা নেই অন্য কোনো নবীর উম্মত তথা ইহুদি ক্রিস্টানদের মাঝে। এবার আসুন যদি কোনো বিধর্মী আপনাকে প্রশ্ন করে তোমাদের নবী যা বলেছে সব মিথ্যে এর প্রমান কী আছে সত্যতার? তখন আপনি বলবেন কুরআনে আছে সত্যতার প্রমান। তখন সে যদি আপনার কুরআনকে অস্বীকার করে তখন কি করবেন? যা আজ থেকে ১৪০০বছর আগেও অস্বীকার করেছিলো।যারা তখন (১৪০০বছর আগে)এই গায়েবের খবর দেওয়া নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা বিশ্বাস করেছেন তারাই মুসলমান হয়ে হজরত আবু বকর সিদ্দীক রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু হয়েছিলো আর যারা করেনি তারাই কাফের হয়ে আবু জেহেল হয়েছিলো।আমাদের সল্প জ্ঞানে নবীর(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)ইলমকে পরিমাপ করা একজন মুসলমান হিসেবে আদৌ ঠিক নয়।
➲ হে আল্লাহ আমাদের সেই সব নবী প্রেমিকদের দলে পরিনত করো,যারা হজরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহুর মত নবী প্রেমে সিক্ত হয়ে তোমার হাবিবকে ভালোবাসতে পারে।
(বন্ধুরা আমরা কেও ভুলের ঊর্ধে নই,আমার লেখাতেও ভুল হতে পারে।আমি চেষ্ঠাকরি সত্যটাকে উপলব্দি করতে আর তাই মনের অজান্তে জ্ঞানের স্বল্পতায় ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন