সৎকর্মের প্রতিদান
════════❋✏ইমরান বিন বদরী ≪
নাহমাদুহু ওয়ানুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম,আম্মা বা’দ।
জগতের মহান রব আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তার ইবাদতের জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। বান্দাকে দিয়েছেন সব কর্মে ইচ্ছার স্বাধীনতা।সুতরাং কর্ম সম্পাদনে একজন্ বান্দার সৎ নিয়্যাতের গুরুত্ব অত্যাধিক।আমার রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ➲
إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত।আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে।ইমাম ইসমাঈল বুখারী (রাহেমাহুল্লাহ) উনার সহিহ হাদিস গ্রন্থের সূচনায় এই হাদিসটি নিয়তের গুরুত্ব বর্ণনায় সংকলন করেছেন।
ক্ষনিকের এই জীবন চলার পথে মিথ্যে মায়ায় মানুষ সৎকর্মের প্রতি অনাগ্রহী হয়ে পড়ছে। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত যে যার অবস্হান থেকে সাধ্যমত উত্তম কাজটি করার ইচ্ছাপোষন করা যা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।সৎ কাজে উৎসাহ আর পাপ কাজে বাধা দেয়ার লোক সমাজে হারিয়ে যাচ্ছে।যার ফলে প্রতিনিয়ত সমাজটা যেন খারাফের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। সৎ এবং পাপ কর্মের প্রতিদানে আমার আল্লাহ বলেন, مَن جَاء بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا وَمَن جَاء بِالسَّيِّئَةِ فَلاَ يُجْزَى إِلاَّ مِثْلَهَا وَهُمْ لاَ يُظْلَمُونَ
যে একটি সৎকর্ম করবে, সে তার দশগুণ পাবে এবং যে, একটি মন্দ কাজ করবে, সে তার সমান শাস্তিই পাবে।বস্তুতঃ তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। (সুরা আনআম ১৬০)
এ ব্যপারে মানবমুক্তির দিশারী রইয়িছুল মুরছালীন আমার রসুল ﷺ বলেছেন--➲ যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের ইচ্ছা করে,অথচ এখনো সে তা পূর্ণ করেনি, তথাপি তার জন্য একটি নেকি লেখা হবে। যদি সে ওই কাজটি করে ফেলে,তাহলে তার জন্য দশ থেকে সাত শ; বরং অগণিত নেকি লেখা হবে। আর যে ব্যক্তি কোনো পাপ কাজের ইচ্ছা করে, অতঃপর তা থেকে বিরত থাকে, তার আমল নামায়ও একটি নেকি লেখা হয়। কিংবা সে যদি মন্দ ইচ্ছাকে কাজে পরিণত করে, তবে কবল একটি গুনাহ লেখা হয় অথবা একেও মিটিয়ে দেওয়া হয়। (মুত্তাফাকুন আলাই)।
***আসুন দেখি বান্দা ভালো কিছু করলে তার প্রতিদান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার বান্দাদের দিতে বেশি দেরি করেনা। বিপদে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাকে সেই ভালো কাজের ওসিলায় সাহায্যও করে থাকেন।নিন্মের হাদিস শরীফটি দেখুন ইমাম বোখারী তার বিখ্যাত বোখারী শরীফে উল্লেখ করেছেন প্রসিদ্ব সাহাবী হযরত ইবনে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি রসুলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে ----➲ তিনজন লোক হেঁটে চলছিল। তাদের উপর বৃষ্টি শুরু হলে তারা এক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নেয়। এমন সময় পাহাড় থেকে একটি পাথর তাদের গুহার মুখের উপর গড়িয়ে পড়ে এবং মুখ বন্ধ করে ফেলে। তাদের একজন অপরজনকে বললঃ তোমরা তোমাদের কৃত আমলের প্রতি লক্ষ্য করো, যে নেক আমল তোমরা আল্লাহর জন্য করেছ; তার ওসিলায় আল্লাহর নিকট দু’আ করো। হয়তো তিনি এটি সরিয়ে দিবেন। তখন তাদের
#একজন বলল ইয়া আল্লাহ! আমার বায়োবৃদ্ধ মাতাপিতা ছিল এবং ছেটি ছোট শিশু ছিল। আমি তাদের (জীবিকার) জন্য মাঠে পশু চরাতাম। যখন সন্ধায় ফিরতাম, তখন দুধ দোহন করতাম এবং আমার সন্তানদের আগেই পিতামাতাকে পান করতে দিতাম। একদিন সেগুলো দূরে বনের মধ্যে চলে যায়। ফলে আমার ফিরতে রাত হয়। ফিরে দেখলাম তারা উভয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমি যেমন দুধ দোহন করতাম, তেমনি দোহন করলাম। তারপর দুধ নিয়ে এলাম এবং উভয়ের মাথার কাছে দাড়িয়ে রইলাম। ঘূম থেকে তাদের উভয়কে জাগানো ভাল মনে করলাম না। আর তাদের আগে শিশুদের পান করানোও অপছন্দ করলাম। আর শিশুরু া আমার দু”পায়ের কাছে কান্নাকাটি করছিল। তাদের ও আমার মাঝে এ অবস্থা চলতে থাকে। অবশেষে ভোর হয়ে গেল। (ইয়া আল্লাহ) আপনি জানেন যে, আমি কেন আপনার সন্তানটির জন্যই একাজ করেছি। তাই আপনি আমাদের জন্য একটু ফাক করে দিন, যাতে আমরা আকাশ দেখতে পাই।
তখন আল্লাহ তাদের জন্য একটু ফাক করে দিলেন, যাতে তারা আকাশ দেখতে পায়।
#দ্বিতীয় ব্যক্তি বললঃ ইয়া আল্লাহ আমার একটি চাচাৎ বোন ছিল। আমি তাফে এতখানি ভালবাসতাম, যতখানি একজন পূরুষ কোন নারীকে ভালবাসতে পারে। আমি তাতে একান্তভাবে পেতে চাইলাম। সে অসম্মতি জানাল, যতক্ষণ আমি তার কাছে একশ- দীনার উপস্থিত না করি। আমি চেষ্টা করলাম এবং একশ- স্বর্ণমুদ্রা জোগাড় করলাম। এগুলো নিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করলাম। যখন আমি তার দু-পায়ের মখ্যে বসলাম, তখন সে বলল
হে -আবদুল্লাহ! আল্লাহকে ভয় করো; আমার কুমারিত্ত নষ্ট করো না। তখন আমি উঠে গেলাম। ইয়া আল্লাহ! আপনি জানেন যে, কেবল আপনার সন্তুষ্টির জন্যই আমি তা করেছি। তাই আমাদের জন্য এটি ফাক করে দিন। তখন তাদের জন্য আল্লাহ আরও কিছু ফাক করে দিলেন।
#শেষের লোকটি বললঃ ইয়া আল্লাহ! আমি একজন মজদুরকে এক “ফারক”- চাউলের বিনিময়ে কাজে নিয়োগ করেছিলাম। সে তার কাজ শেষ করে এসে বলল, আমার প্রাপ্য দিয়ে দিন। আমি তার প্রাপ্য তার সামনে উপস্থিত করলাম কিন্তু সে তা ছেড়ে দিল ও প্রত্যাখ্যান করলো। তারপর তার প্রাপ্য আমি জমাগত কৃষিকাজে খাটাতে লাগলাম। তার দ্বারা অনেকগুলো গরু ও গাধা জমা করলাম। এরপর সে একদিন আমার কাছে এসে বললঃ আল্লাহকে ভয় কর, আমার উপর যুলম করো না এবং আমার প্রাপ্য দিয়ে দাও। আমি বললামঃ গরু ও রাখালের কাছে চলে যাও। সে বললঃ আল্লাহকে ভয় করো, আমরে সাথে উপহাস করো না। আমি বললাম তোমার সঙ্গে আমি উপহাস করছি না। তুমি ঐ গরুগুলো ও তার গাধা নিয়ে যাও। তারপর সে ওগুলো নিয়ে চলে গেল। (ইয়া আল্লাহ) আপনি জানেন যে, তা আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্যই করেছি, তাই আপনি অবশিষ্ট অংশ উন্মুক্ত করে দিন। তারপর আল্লাহ তাদের জন্য তা উন্মুক্ত করে দিলেন। سبحان الله والحمد لله ولا اله الا الله والله اكبر
✪বন্ধুরা-➲ লাইকের আশায় নয়,শুধুমাত্র আল্লাহ এবং তার হাবীবের দেখিয়ে দেয়া পথ আপনার সামনে উপস্থাপন করাই আমার উদ্দেশ্য।আসুন ভালো কাজ নিজে করি এবং অন্যকে করতে উৎসাহ দিই কেননা আমার রসুল ﷺ বলেছেন--➲ أَمْرٌ بِمَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ، وَنَهْيٌ عَنْ مُنْكَرٍ صَدَقَةٌ
প্রত্যেক ভালো কাজের হুকুম দেয়া হচ্ছে সদকাহ্ এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত করাও হচ্ছে সদকাহ্।
(শেয়ার করে মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন)।
════════❋✏ইমরান বিন বদরী ≪
নাহমাদুহু ওয়ানুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম,আম্মা বা’দ।
জগতের মহান রব আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তার ইবাদতের জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। বান্দাকে দিয়েছেন সব কর্মে ইচ্ছার স্বাধীনতা।সুতরাং কর্ম সম্পাদনে একজন্ বান্দার সৎ নিয়্যাতের গুরুত্ব অত্যাধিক।আমার রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ➲
إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত।আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে।ইমাম ইসমাঈল বুখারী (রাহেমাহুল্লাহ) উনার সহিহ হাদিস গ্রন্থের সূচনায় এই হাদিসটি নিয়তের গুরুত্ব বর্ণনায় সংকলন করেছেন।
ক্ষনিকের এই জীবন চলার পথে মিথ্যে মায়ায় মানুষ সৎকর্মের প্রতি অনাগ্রহী হয়ে পড়ছে। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত যে যার অবস্হান থেকে সাধ্যমত উত্তম কাজটি করার ইচ্ছাপোষন করা যা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।সৎ কাজে উৎসাহ আর পাপ কাজে বাধা দেয়ার লোক সমাজে হারিয়ে যাচ্ছে।যার ফলে প্রতিনিয়ত সমাজটা যেন খারাফের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। সৎ এবং পাপ কর্মের প্রতিদানে আমার আল্লাহ বলেন, مَن جَاء بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا وَمَن جَاء بِالسَّيِّئَةِ فَلاَ يُجْزَى إِلاَّ مِثْلَهَا وَهُمْ لاَ يُظْلَمُونَ
যে একটি সৎকর্ম করবে, সে তার দশগুণ পাবে এবং যে, একটি মন্দ কাজ করবে, সে তার সমান শাস্তিই পাবে।বস্তুতঃ তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। (সুরা আনআম ১৬০)
এ ব্যপারে মানবমুক্তির দিশারী রইয়িছুল মুরছালীন আমার রসুল ﷺ বলেছেন--➲ যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের ইচ্ছা করে,অথচ এখনো সে তা পূর্ণ করেনি, তথাপি তার জন্য একটি নেকি লেখা হবে। যদি সে ওই কাজটি করে ফেলে,তাহলে তার জন্য দশ থেকে সাত শ; বরং অগণিত নেকি লেখা হবে। আর যে ব্যক্তি কোনো পাপ কাজের ইচ্ছা করে, অতঃপর তা থেকে বিরত থাকে, তার আমল নামায়ও একটি নেকি লেখা হয়। কিংবা সে যদি মন্দ ইচ্ছাকে কাজে পরিণত করে, তবে কবল একটি গুনাহ লেখা হয় অথবা একেও মিটিয়ে দেওয়া হয়। (মুত্তাফাকুন আলাই)।
***আসুন দেখি বান্দা ভালো কিছু করলে তার প্রতিদান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার বান্দাদের দিতে বেশি দেরি করেনা। বিপদে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাকে সেই ভালো কাজের ওসিলায় সাহায্যও করে থাকেন।নিন্মের হাদিস শরীফটি দেখুন ইমাম বোখারী তার বিখ্যাত বোখারী শরীফে উল্লেখ করেছেন প্রসিদ্ব সাহাবী হযরত ইবনে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি রসুলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে ----➲ তিনজন লোক হেঁটে চলছিল। তাদের উপর বৃষ্টি শুরু হলে তারা এক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নেয়। এমন সময় পাহাড় থেকে একটি পাথর তাদের গুহার মুখের উপর গড়িয়ে পড়ে এবং মুখ বন্ধ করে ফেলে। তাদের একজন অপরজনকে বললঃ তোমরা তোমাদের কৃত আমলের প্রতি লক্ষ্য করো, যে নেক আমল তোমরা আল্লাহর জন্য করেছ; তার ওসিলায় আল্লাহর নিকট দু’আ করো। হয়তো তিনি এটি সরিয়ে দিবেন। তখন তাদের
#একজন বলল ইয়া আল্লাহ! আমার বায়োবৃদ্ধ মাতাপিতা ছিল এবং ছেটি ছোট শিশু ছিল। আমি তাদের (জীবিকার) জন্য মাঠে পশু চরাতাম। যখন সন্ধায় ফিরতাম, তখন দুধ দোহন করতাম এবং আমার সন্তানদের আগেই পিতামাতাকে পান করতে দিতাম। একদিন সেগুলো দূরে বনের মধ্যে চলে যায়। ফলে আমার ফিরতে রাত হয়। ফিরে দেখলাম তারা উভয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমি যেমন দুধ দোহন করতাম, তেমনি দোহন করলাম। তারপর দুধ নিয়ে এলাম এবং উভয়ের মাথার কাছে দাড়িয়ে রইলাম। ঘূম থেকে তাদের উভয়কে জাগানো ভাল মনে করলাম না। আর তাদের আগে শিশুদের পান করানোও অপছন্দ করলাম। আর শিশুরু া আমার দু”পায়ের কাছে কান্নাকাটি করছিল। তাদের ও আমার মাঝে এ অবস্থা চলতে থাকে। অবশেষে ভোর হয়ে গেল। (ইয়া আল্লাহ) আপনি জানেন যে, আমি কেন আপনার সন্তানটির জন্যই একাজ করেছি। তাই আপনি আমাদের জন্য একটু ফাক করে দিন, যাতে আমরা আকাশ দেখতে পাই।
তখন আল্লাহ তাদের জন্য একটু ফাক করে দিলেন, যাতে তারা আকাশ দেখতে পায়।
#দ্বিতীয় ব্যক্তি বললঃ ইয়া আল্লাহ আমার একটি চাচাৎ বোন ছিল। আমি তাফে এতখানি ভালবাসতাম, যতখানি একজন পূরুষ কোন নারীকে ভালবাসতে পারে। আমি তাতে একান্তভাবে পেতে চাইলাম। সে অসম্মতি জানাল, যতক্ষণ আমি তার কাছে একশ- দীনার উপস্থিত না করি। আমি চেষ্টা করলাম এবং একশ- স্বর্ণমুদ্রা জোগাড় করলাম। এগুলো নিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করলাম। যখন আমি তার দু-পায়ের মখ্যে বসলাম, তখন সে বলল
হে -আবদুল্লাহ! আল্লাহকে ভয় করো; আমার কুমারিত্ত নষ্ট করো না। তখন আমি উঠে গেলাম। ইয়া আল্লাহ! আপনি জানেন যে, কেবল আপনার সন্তুষ্টির জন্যই আমি তা করেছি। তাই আমাদের জন্য এটি ফাক করে দিন। তখন তাদের জন্য আল্লাহ আরও কিছু ফাক করে দিলেন।
#শেষের লোকটি বললঃ ইয়া আল্লাহ! আমি একজন মজদুরকে এক “ফারক”- চাউলের বিনিময়ে কাজে নিয়োগ করেছিলাম। সে তার কাজ শেষ করে এসে বলল, আমার প্রাপ্য দিয়ে দিন। আমি তার প্রাপ্য তার সামনে উপস্থিত করলাম কিন্তু সে তা ছেড়ে দিল ও প্রত্যাখ্যান করলো। তারপর তার প্রাপ্য আমি জমাগত কৃষিকাজে খাটাতে লাগলাম। তার দ্বারা অনেকগুলো গরু ও গাধা জমা করলাম। এরপর সে একদিন আমার কাছে এসে বললঃ আল্লাহকে ভয় কর, আমার উপর যুলম করো না এবং আমার প্রাপ্য দিয়ে দাও। আমি বললামঃ গরু ও রাখালের কাছে চলে যাও। সে বললঃ আল্লাহকে ভয় করো, আমরে সাথে উপহাস করো না। আমি বললাম তোমার সঙ্গে আমি উপহাস করছি না। তুমি ঐ গরুগুলো ও তার গাধা নিয়ে যাও। তারপর সে ওগুলো নিয়ে চলে গেল। (ইয়া আল্লাহ) আপনি জানেন যে, তা আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্যই করেছি, তাই আপনি অবশিষ্ট অংশ উন্মুক্ত করে দিন। তারপর আল্লাহ তাদের জন্য তা উন্মুক্ত করে দিলেন। سبحان الله والحمد لله ولا اله الا الله والله اكبر
✪বন্ধুরা-➲ লাইকের আশায় নয়,শুধুমাত্র আল্লাহ এবং তার হাবীবের দেখিয়ে দেয়া পথ আপনার সামনে উপস্থাপন করাই আমার উদ্দেশ্য।আসুন ভালো কাজ নিজে করি এবং অন্যকে করতে উৎসাহ দিই কেননা আমার রসুল ﷺ বলেছেন--➲ أَمْرٌ بِمَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ، وَنَهْيٌ عَنْ مُنْكَرٍ صَدَقَةٌ
প্রত্যেক ভালো কাজের হুকুম দেয়া হচ্ছে সদকাহ্ এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত করাও হচ্ছে সদকাহ্।
(শেয়ার করে মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন