মানব জীবনে আযল এর বিধান।
=▒=❉=▒=❉=▒=✏ইমরান বিন বদরী ≪
নাহমাদুহু ওয়ানুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম,আম্মা বা’দ।আজকের বিষয় (عزل) আযল।আর এই আযল সম্পর্কে জানার পূর্বে জেনে রাখি মানব সৃষ্টিতে আল্লাহপাকের উদ্দেশ্য কী। স্র্রষ্টার সৃষ্টির উদ্দেশ্যের দিকে থাকালে আমরা দেখতে পাই মহান রব্বুল আলামীন মানব সৃষ্টির মূলে ছিলো তার ইবাদত করা।আজকের লেখাটি সেদিকটাই বেশী প্রাধান্য দিয়ে লিখছি। বিষয়টি কঠিন মনে হলেও একটু চিন্তা করলে খুব সহজ ভাবে বুঝা যায়। আল্লাহপাক রব্বুল আলামীন বাবা হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করে মা হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি না করলেই পারতেন।মহিলা ছাড়া মানব সৃষ্টির সেই ক্ষমতা আমার মহান আল্লাহপাকের থাকার পরেও নিয়মতান্ত্রিকতার সাথে আদম (আঃ) এর একাকীত্ব দুর করে মানব বৃদ্ধিতে একত্ববাদের ঘোষণা পূর্বক ইবাদতগাহীর পরিপূর্ণা লাভের জন্য মা হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন।
'আযল' হল জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি একটি কৌশল মাত্র। উদ্দেশ্য স্ত্রীকে গর্ভধারণ থেকে বিরত রাখা।তবে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহ চাইলে এর পরেও গর্ভে সন্তান আসতে পারে।আমাদের মনে রাখতে হবে যে,ইসলামে অধিক সন্তান লাভে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ সূরা কাহাফ এ বলেন,
الْمَالُ وَالْبَنُونَ زِينَةُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَالْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ خَيْرٌ عِندَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَخَيْرٌ أَمَلًا
ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্যে উত্তম। (কাহাফ ৪৬)
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা প্রেমময়ী ও অধিক সন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ কর। কেননা আমি ক্বিয়ামতের দিন অন্যান্য উম্মতের চাইতে তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে গর্ব করব’(সহিহ আবুদাঊদ)।
আযল এর ব্যপারে পবিত্র কুরআনে কারীমে সরাসরি নিষেধ না করলেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। যেমন আল্লাহপাক বলেন,
َوَلاَ تَقْتُلُواْ أَوْلاَدَكُم مِّنْ إمْلاَقٍ نَّحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْ
‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের হত্যা কর না দারিদ্রের কারণে,আমিই তোমাদের রিযিক দান করি এবং তাদেরও আমিই রিযিক দান করব’ (আন‘আম ১৫১)
উপরোক্ত আয়াতে স্পষ্ট যে খাবারের অভাবের আশংকায় অনাগত সন্তানকে হত্যা করতে মহান আল্লাহ স্পষ্ট নিষেধ করেছেন এবং অনাগত সন্তানদের রিযিকের মালিক আল্লাহ রব্বুল আলামীন।
আযল সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে কারীমে কোন আলোচনা খুঁজে পাওয়া যায় না তবে হ্যাঁ পবিত্র হাদীছে স্পষ্ট আলোচনা আছে যে প্রয়োজন ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধা এড়ানোর জন্য শারীরিক অসুস্থতায় আযল করা অনুমতি দেখা যায়। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মানুষ আযল করেছেন যেমনঃ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَب فاشتهينا النِّسَاء واشتدت عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْعَزْلَ فَأَرَدْنَا أَنْ نَعْزِلَ وَقُلْنَا: نَعْزِلُ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ؟ فَسَأَلْنَاهُ عَن ذَلِك فَقَالَ: مَا عَلَيْكُمْ أَلاَّ تَفْعَلُوْا مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلاَّ وَهِيَ كَائِنَةٌ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
আমরা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বনী মুস্তালিকের যুদ্ধে বের হয়ে গেলাম। সেখানে কিছু সংখ্যক আরবকে (দাসী) বন্দী করে নিলাম। তখন আমাদের মধ্যে রমণীদের প্রতি আকর্ষণ জাগে। যৌন ক্ষুধাও তীব্র হয়ে উঠে এবং এ অবস্থায় ‘আযল করাকেই আমরা ভাল মনে করলাম। তখন এ সম্পর্কে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি জবাবে বললেন, তোমরা যদি তা কর তাতে তোমাদের ক্ষতি কি? কেননা আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ সৃষ্টি করবেন, তা তিনি নির্দিষ্ট করে রেখেছেন এবং তা অবশ্যই সৃষ্টি করবেন।(মুত্তাফাক্ব আলাইহ,মিশকাত ৩১৮৬)
হযরত জাবির রাদিআল্লাহু আনহু বলেন,جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نَعْزِلُ وَالْقُرْآنُ يَنْزِلُ
‘আমরা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় ‘আযল’ করতাম অথচ তখনও কুরআন নাযিল হচ্ছিল। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ,মিশকাত ৩১৮৪)
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَعْزِلُ فَزَعَمَتِ الْيَهُودُ أَنَّهَا الْمَوْءُودَةُ الصُّغْرَى . فَقَالَ" كَذَبَتِ الْيَهُودُ إِنَّ اللَّهَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْلُقَهُ لَمْ يَمْنَعْهُ "
হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা একবার বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ আমরা তো আযল করতাম। কিন্তু ইয়াহুদীরা বলে, এতো হলো সন্তানকে ছোট ধরণের পুতে মারার অপর নাম। তখন তিনি বললেন, ইয়াহূদীরা মিথ্যা বলেছে। আল্লাহ্ যদি কাউকে সৃষ্টি করার ইরাদা করেন তবে কেউ-ই তা বাধা দিতে পারবে না। (সহিহ আবু দাউদ ১৮৮৪)
অর্থাৎ পবিত্র কুরআনে কারীমে ‘আযল’ সম্পর্কে কোন নিষেধবাণী আসেনি। আর এ সম্পর্কে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সরাসরি নিষেধ করেননি।
পরিশেষে বলব আমরা বিজ্ঞানের যুগে মানুষের যোগ্যতা অনুযায়ী তার শ্রমশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারিনি বলে জন্মনিয়ন্ত্রণকে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ সমস্যার প্রকৃত সমাধান মনে করছি। মোটকথা,কোন ওজর ব্যতিত আযল নয়। আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তায়ালা আমার বুঝার অক্ষমতায় যেন আমায় ক্ষমা করেন তার প্রিয় হাবীবের দিকে চেয়ে। আমীন।
=▒=❉=▒=❉=▒=✏ইমরান বিন বদরী ≪
নাহমাদুহু ওয়ানুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম,আম্মা বা’দ।আজকের বিষয় (عزل) আযল।আর এই আযল সম্পর্কে জানার পূর্বে জেনে রাখি মানব সৃষ্টিতে আল্লাহপাকের উদ্দেশ্য কী। স্র্রষ্টার সৃষ্টির উদ্দেশ্যের দিকে থাকালে আমরা দেখতে পাই মহান রব্বুল আলামীন মানব সৃষ্টির মূলে ছিলো তার ইবাদত করা।আজকের লেখাটি সেদিকটাই বেশী প্রাধান্য দিয়ে লিখছি। বিষয়টি কঠিন মনে হলেও একটু চিন্তা করলে খুব সহজ ভাবে বুঝা যায়। আল্লাহপাক রব্বুল আলামীন বাবা হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করে মা হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি না করলেই পারতেন।মহিলা ছাড়া মানব সৃষ্টির সেই ক্ষমতা আমার মহান আল্লাহপাকের থাকার পরেও নিয়মতান্ত্রিকতার সাথে আদম (আঃ) এর একাকীত্ব দুর করে মানব বৃদ্ধিতে একত্ববাদের ঘোষণা পূর্বক ইবাদতগাহীর পরিপূর্ণা লাভের জন্য মা হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন।
'আযল' হল জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি একটি কৌশল মাত্র। উদ্দেশ্য স্ত্রীকে গর্ভধারণ থেকে বিরত রাখা।তবে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহ চাইলে এর পরেও গর্ভে সন্তান আসতে পারে।আমাদের মনে রাখতে হবে যে,ইসলামে অধিক সন্তান লাভে উৎসাহিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ সূরা কাহাফ এ বলেন,
الْمَالُ وَالْبَنُونَ زِينَةُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَالْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ خَيْرٌ عِندَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَخَيْرٌ أَمَلًا
ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্যে উত্তম। (কাহাফ ৪৬)
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা প্রেমময়ী ও অধিক সন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ কর। কেননা আমি ক্বিয়ামতের দিন অন্যান্য উম্মতের চাইতে তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে গর্ব করব’(সহিহ আবুদাঊদ)।
আযল এর ব্যপারে পবিত্র কুরআনে কারীমে সরাসরি নিষেধ না করলেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। যেমন আল্লাহপাক বলেন,
َوَلاَ تَقْتُلُواْ أَوْلاَدَكُم مِّنْ إمْلاَقٍ نَّحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْ
‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের হত্যা কর না দারিদ্রের কারণে,আমিই তোমাদের রিযিক দান করি এবং তাদেরও আমিই রিযিক দান করব’ (আন‘আম ১৫১)
উপরোক্ত আয়াতে স্পষ্ট যে খাবারের অভাবের আশংকায় অনাগত সন্তানকে হত্যা করতে মহান আল্লাহ স্পষ্ট নিষেধ করেছেন এবং অনাগত সন্তানদের রিযিকের মালিক আল্লাহ রব্বুল আলামীন।
আযল সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে কারীমে কোন আলোচনা খুঁজে পাওয়া যায় না তবে হ্যাঁ পবিত্র হাদীছে স্পষ্ট আলোচনা আছে যে প্রয়োজন ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধা এড়ানোর জন্য শারীরিক অসুস্থতায় আযল করা অনুমতি দেখা যায়। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মানুষ আযল করেছেন যেমনঃ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَب فاشتهينا النِّسَاء واشتدت عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْعَزْلَ فَأَرَدْنَا أَنْ نَعْزِلَ وَقُلْنَا: نَعْزِلُ وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ؟ فَسَأَلْنَاهُ عَن ذَلِك فَقَالَ: مَا عَلَيْكُمْ أَلاَّ تَفْعَلُوْا مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلاَّ وَهِيَ كَائِنَةٌ-
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
আমরা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বনী মুস্তালিকের যুদ্ধে বের হয়ে গেলাম। সেখানে কিছু সংখ্যক আরবকে (দাসী) বন্দী করে নিলাম। তখন আমাদের মধ্যে রমণীদের প্রতি আকর্ষণ জাগে। যৌন ক্ষুধাও তীব্র হয়ে উঠে এবং এ অবস্থায় ‘আযল করাকেই আমরা ভাল মনে করলাম। তখন এ সম্পর্কে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি জবাবে বললেন, তোমরা যদি তা কর তাতে তোমাদের ক্ষতি কি? কেননা আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ সৃষ্টি করবেন, তা তিনি নির্দিষ্ট করে রেখেছেন এবং তা অবশ্যই সৃষ্টি করবেন।(মুত্তাফাক্ব আলাইহ,মিশকাত ৩১৮৬)
হযরত জাবির রাদিআল্লাহু আনহু বলেন,جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا نَعْزِلُ وَالْقُرْآنُ يَنْزِلُ
‘আমরা রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় ‘আযল’ করতাম অথচ তখনও কুরআন নাযিল হচ্ছিল। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ,মিশকাত ৩১৮৪)
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَعْزِلُ فَزَعَمَتِ الْيَهُودُ أَنَّهَا الْمَوْءُودَةُ الصُّغْرَى . فَقَالَ" كَذَبَتِ الْيَهُودُ إِنَّ اللَّهَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْلُقَهُ لَمْ يَمْنَعْهُ "
হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা একবার বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ আমরা তো আযল করতাম। কিন্তু ইয়াহুদীরা বলে, এতো হলো সন্তানকে ছোট ধরণের পুতে মারার অপর নাম। তখন তিনি বললেন, ইয়াহূদীরা মিথ্যা বলেছে। আল্লাহ্ যদি কাউকে সৃষ্টি করার ইরাদা করেন তবে কেউ-ই তা বাধা দিতে পারবে না। (সহিহ আবু দাউদ ১৮৮৪)
অর্থাৎ পবিত্র কুরআনে কারীমে ‘আযল’ সম্পর্কে কোন নিষেধবাণী আসেনি। আর এ সম্পর্কে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সরাসরি নিষেধ করেননি।
পরিশেষে বলব আমরা বিজ্ঞানের যুগে মানুষের যোগ্যতা অনুযায়ী তার শ্রমশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারিনি বলে জন্মনিয়ন্ত্রণকে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ সমস্যার প্রকৃত সমাধান মনে করছি। মোটকথা,কোন ওজর ব্যতিত আযল নয়। আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তায়ালা আমার বুঝার অক্ষমতায় যেন আমায় ক্ষমা করেন তার প্রিয় হাবীবের দিকে চেয়ে। আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন