বিদআত শব্দটির অপব্যবহার।
═══❋---❋═══ ✏ইমরান বিন বদরী ≪
বিদআত এটি গুরুত্ত্বপূর্ণ একটি বিষয়।বর্তমানে এ বিষয়ে সঠিক ধারনা না থাকায় আমাদের সরলমনা মানুষ এক গোলাটে পরিস্থতিতে রয়েছে। সমাজের একশ্রেনীর আলেম বর্তমানে শব্দটির অপব্যবহারে নিজেদের স্বপক্ষে অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার করে আমারমত সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহের যে চারা রুপন করছে তার ফলাফল ফিতনা ছাড়া আর কিছু পাচ্ছিনা। বর্তমানে আলেম সমাজে বিভিন্ন মতের কারণে ইসলামের সঠিক আলোচনা করার সাহস নেই বল্লে চলে।প্রয়োজনের তাকিদ দেখিয়ে অপ্রয়োজনীয় আলোচনা করে দিনের পর দিন ফিতনার হাত লম্বা-ই করতে চলছে। ফলে সাধারণ মানুষদেরকে ধর্মবিমূখ করে দিচ্ছেন। ১৪০০ বছর আগের পরিপূর্ণ ইসলামকে এবং পরবর্তীতে ইসলামের কিছু কিছু বিষয় যা অষ্পষ্ট তা ইমামদের ইজতিহাদী ফলাফলে সমাধান করা অনেক বিষয়কেও বিদায়াতের পর্যায়ে নিয়ে ইসলামকে পেকেজ করার মানসিকতায় অহেতুক সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমি সত্যকে সব সময় সামনে রেখে নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝি তাই লিখতে চেষ্টা করি। আত্নপ্রচারে নয়,কেবল প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেখিয়ে দেয়া পথ আমার মত সাধারণদের মাঝে পৌঁছে দিয়ে মহান রব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জন করাই অধমের একমাত্র উদ্দেশ্য। ইসলামী শরীয়তে হারাম,শিরীক,বিদআত এ শব্দগুলির ব্যবহার সাবধানে করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী কর্তব্য। মনের হীনস্বার্থে এসব শব্দ ব্যবহার করে মুসলীম সমাজে ফিতনা যারা সৃষ্টি করে তাদের কতটুকু ক্ষমা করবেন তা আল্লাহপাকই ভালো জানেন।
'বিদআত' আরবি শব্দ। আভিধানিক অর্থ নতুনত্ব বা নতুন আবিষ্কার। আর পরিভাষায় মোল্লা ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন وَفِى الشَّرْعِ اِحْدَاثُ مَالَمْ يَكُنْ فِىْ عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ বিদআত হচ্ছে শরীয়তে ওই ধরনের কাজের সূচনা করা, যা হুযুরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে ছিল না।(মিরকাত শরহে মিশকাত) অর্থাৎ ইসলামী শরীয়তে এমন কিছু আবিষ্কার বা সংযোজন করা যা শরীয়তের মূল বিষয়ের পরিপন্তী এবং রসুলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের রেখে যাওয়া কিতাবুল্লাহ (কুরআনে করীম) এবং সুন্নাহর পরিপন্তী। বিদাআতের ব্যপারে আমার নবী কঠোরভাবে সাবধান করেছেন।কারণ এই বিদাআতের কারণে মানুষ ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা থেকে হারিয়ে গিয়ে সিরাতাল মুস্তাকীমের পথ ভুলে যেতেপারে। রসুলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেছেন :
إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللهِ وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ وَكُلُّ ضَلاَلَةٍ فِي النَّارِ. رواه مسلم والنسائى.
নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল নব উদ্ভাবিত বিষয়।আর নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম। (নাসায়ী ১৫৬০,মুসলিমঃ ৭৬৮)
---উপরোক্ত হাদিস শরীফটিতে ভালো করে লক্ষ্য করুণ এতে দ্বীনের ব্যপারে এমন কাজ যা শরীয়তের বিপরীতে অবস্থান অর্থাৎ যা পালনে-আমলে রয়েছে ষ্পষ্ট ভ্রষ্টতা এবং যে কাজ কুরআন সুন্নাহর বিপরীতে অবস্থান করে ইসলামের সম্পূর্ণ পরিপন্তী যাতে রয়েছে গোমরাহী। যা পালনে ইবাদাতের মূল বিষয়ে পরিবর্তন নিয়ে আসে অর্থাৎ ফরজ,ওয়াজীব,সুন্নাতের মাঝে নব সংযোজন করে ইবাদাতের মূল আমলে পরিবর্তন নিয়ে আসা। আর সেটিই হচ্ছে সম্পূর্ণ রুপে বিদাআত যার গন্তব্য জাহান্নাম।
যেমন-বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম" সশব্দে না পাঠ করা প্রসঙ্গে
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ إِيَاسٍ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عَبَايَةَ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ سَمِعَنِي أَبِي، وَأَنَا فِي الصَّلاَةِ، أَقُولُ: (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) فَقَالَ لِي أَىْ بُنَىَّ مُحْدَثٌ إِيَّاكَ وَالْحَدَثَ . قَالَ وَلَمْ أَرَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ أَبْغَضَ إِلَيْهِ الْحَدَثُ فِي الإِسْلاَمِ يَعْنِي مِنْهُ . قَالَ وَقَدْ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعَ أَبِي بَكْرٍ وَمَعَ عُمَرَ وَمَعَ عُثْمَانَ فَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْهُمْ يَقُولُهَا فَلاَ تَقُلْهَا إِذَا أَنْتَ صَلَّيْتَ فَقُلِ: (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَغَيْرُهُمْ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لاَ يَرَوْنَ أَنْ يَجْهَرَ بِـ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) قَالُوا وَيَقُولُهَا فِي نَفْسِهِ .
হযরত ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমার পিতা (আবদুল্লাহ) আমাকে নামাযের মধ্যে শব্দ করে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম' পাঠ করতে শুনলেন। তিনি বললেন, হে বৎস! এটা তো বিদ'আত; বিদ'আত হতে সাবধান হও। তারপর তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবাদের চেয়ে অন্য কাউকে ইসলামে বিদ'আতের প্রচলন করার প্রতি এত বেশী ঘৃণা ও শত্রুতা পোষণ করতে দেখিনি। তিনি আরো বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বাকার রাদিআল্লাহু আনহু, উমার রাদিআল্লাহু আনহু ও উসমান রাদিআল্লাহু আনহু-এর সাথে নামায আদায় করেছি। কিন্তু তাদের কাউকে বিসমিল্লাহ সশব্দে পাঠ করতে শুনিনি। অতএব তুমিও সশব্দে পাঠ কর না। যখন তুমি নামায আদায় করবে তখন আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন” এর মাধ্যমে কিরা'আত শুরু করবে। (তিরমিজী)
বিদআত বিষয়টি নিকৃষ্ট এ জন্যই বিদআতকে ভ্রষ্টতা বলে অভিহিত করা হয়েছে।বিদআতের সাথে শরীয়তের কোন ইবাদাতের মিল থাকতে পারেনা।কুরআনে পাকের হুকুম এবং আমার রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফেয়লি এবং কওলিতে নির্দেশিত যা দেখিয়ে দিয়েছেন তার বিপরীতে অন্যভাবে নতুনত্ত্ব দিয়ে পালন করাই প্রকৃত বিদাআত।
আমি বিদাআতের প্রকার উল্লেখ করছিনা কারণ বিদাআত বলতে যতটুকু বুঝি সুরা মায়িদার ৩ আয়াতে আল্লাহ রব্বুল আলামীন যে ইসলামের পূর্নাঙ্গতার কথা বলেছেন তার মাঝে নতুন কিছু সংযোজন করাই বিদাআত। বর্তমানে আমাদের সমাজে ''বিদাআত'' শব্দের ব্যবহার হচ্ছে নিজের স্বার্থানুযায়ী।যার ফলে একে অন্যের বিরুদ্ধে অযাচিত ফতোয়া দিয়ে দিনের পর দিন মুসলমানের মাঝে যোজন বিয়োজন দূরত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মাঝে বিভেধ সৃষ্টিকারী কোন আলেম- কাল কিয়ামতের দিনে আল্লাহর দরবারে রেহাই পাবেনা। মুসলমানদের মাঝে বিভেধ সৃষ্টি করা পাপ।বাংলাদেশে ইসলামের মূল বিষয়ে ইবাদাতের কোনো আমল নিয়ে বিভেধও নেই বিতর্কও নেই। সকলেই একই মতের একই পথের। সকলে রসুলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তবে তাবেঈন যেভাবে ইসলাম পালন করেছেন সেভাবেই পালন করে থাকে। যা শতাব্দীর পর শতাব্দী একি নিয়মে চলে আসছে।হয়তোবা আকিদাগত কিছু মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু বর্তমানে কিছু আলেম নামের বিভেধ সৃষ্টিকারী লোক কথায় কথায় ছহি যঈফের কথা বলে যে বা-যারা হাদিস কিংবা উসুলে হাদিসের নুন্যতম ধারনাও নেই তাদের মনে সন্দেহের বীজ রুপন করছেন এই বলে -এটি সহীহ হাদিস দিয়ে প্রমাণ নয় সুতরাং এটা পরিতায্য। তারা এভাবে বিতর্ক জোড়ে দিয়ে বিভিন্ন মাসয়ালা নিয়ে বিভেধ সৃষ্টি করে চলছে মুসলমানদের মাঝে। ইসলামী অনৈক্যের মূলে এখন তারাই সবচেয়ে বড় অবদান রাখছেন।
আসুন জেনে নিই সব নতুন কাজ কিন্তু বিদাআত নয়। সবকিছুকে বিদাআতের পর্যায়ে নিয়ে ফতোয়া দেয়াটাও ইসলামে ফিত্নাবাজ হিসেবে গন্য হবে। যেমনঃ জুমু‘আহর দিনের আযান।
آدَمُ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ كَانَ النِّدَاءُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوَّلُهُ إِذَا جَلَسَ الْإِمَامُ عَلَى الْمِنْبَرِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَلَمَّا كَانَ عُثْمَانُوَكَثُرَ النَّاسُ زَادَ النِّدَاءَ الثَّالِثَ عَلَى الزَّوْرَاءِ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ الزَّوْرَاءُ مَوْضِعٌ بِالسُّوقِ بِالْمَدِينَةِ.
হযরত সায়িব ইবনু ইয়াযীদ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর রাদিআল্লাহু আনহু এবং উমর রাদিআল্লাহু আনহু -এর সময় জুমু‘আহর দিন ইমাম যখন মিম্বরের উপর বসতেন, তখন প্রথম আযান দেয়া হত। পরে যখন ‘উসমান রাদিআল্লাহু আনহু খলীফাহ হলেন এবং লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেল, তখন তিনি ‘যাওরাহ’ হতে তৃতীয়* আযান বৃদ্ধি করেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ্ (ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেন, ‘যাওরাহ’ হল মাদ্বীনার অদূরে বাজারের একটি স্থান। (সহীহ বুখারী)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كَانَ لَهُ أَجْرُهَا وَمِثْلُ أُجُورِهِمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ سَنَّ سُنَّةً سَيِّئَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كَانَ عَلَيْهِ وِزْرُهُ وَمِثْلُ أَوْزَارِهِمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا " .
হযরত আবূ জুহাইফাহ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি কোন ভালো প্রথার প্রচলন করলে এবং তার পরে তদনুসারে কাজ করলে তার জন্য এ কাজের পুরস্কার রয়েছে, অধিকন্তু তার অনুসরণকারীদের সমপরিমাণ পুরস্কারও রয়েছে। অবশ্য তাতে তাদের পুরস্কারে কোন ঘাটতি হবে না। পক্ষান্তরে কোন ব্যাক্তি কোন মন্দ প্রথার প্রচলন করলে এবং তার পরে তদনুযায়ী কাজ করা হলে তার জন্য এ কাজের গুনাহ রয়েছে এবং যারা তদনুসারে কাজ করবে তাদের গুনাহের সমপরিমাণ তার উপর বর্তাবে, এতে তাদের গুনাহের পরিমাণ কিছুই কমবে না। (সুনানে ইবনে মাজাহ)
এই হাদিস শরিফটি একিভাবে হযরত জারী রাদিআল্লাহু আনহু এবং হাদিস বর্নণাকারীদের সম্রাট হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু বর্নণা করেছেন।
উপরোক্ত হাদীসের প্রথম আমলটা যেন করেছিলেন খলীফাতুল মুসলেমীন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রাদ্বিআল্লাহু আনহু তারাবির সালাত জামায়াতের সাথে পড়ার প্রবর্তন করে। এতে বুঝা যায় বিদাআতের ধরনের মাঝেও পার্থক্য রয়েছে, এক উত্তম বিদআত অন্যটি নিকৃষ্ট বিদআত। বিদআতে হাসানা মুসলমানরা করলেও বিদাআতে সাইয়্যা অর্থাৎ নিকৃষ্ট বিদাআত করা একজন মুসলমানের পক্ষে অসম্ভব। আমি আর লম্বা করতে চাইনা শুধু এতটুকু বলবো ফিত্না যেন সৃষ্টিকরা না হয়। আর যদি একে অন্যের বিপক্ষে ইচ্ছানুযায়ী ফতোয়া দিতে থাকে তবে মনে রাখতে হবে কেউ তথাকথিত ফতোয়ার ঊর্ধে নয়। ক্ষমা চেয়ে বিদায় নিচ্ছি কারণ আমার বুঝেও ভুল হতেপারে আল্লাহ ক্ষমা করুক আমাকে।
═══❋---❋═══ ✏ইমরান বিন বদরী ≪
বিদআত এটি গুরুত্ত্বপূর্ণ একটি বিষয়।বর্তমানে এ বিষয়ে সঠিক ধারনা না থাকায় আমাদের সরলমনা মানুষ এক গোলাটে পরিস্থতিতে রয়েছে। সমাজের একশ্রেনীর আলেম বর্তমানে শব্দটির অপব্যবহারে নিজেদের স্বপক্ষে অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার করে আমারমত সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহের যে চারা রুপন করছে তার ফলাফল ফিতনা ছাড়া আর কিছু পাচ্ছিনা। বর্তমানে আলেম সমাজে বিভিন্ন মতের কারণে ইসলামের সঠিক আলোচনা করার সাহস নেই বল্লে চলে।প্রয়োজনের তাকিদ দেখিয়ে অপ্রয়োজনীয় আলোচনা করে দিনের পর দিন ফিতনার হাত লম্বা-ই করতে চলছে। ফলে সাধারণ মানুষদেরকে ধর্মবিমূখ করে দিচ্ছেন। ১৪০০ বছর আগের পরিপূর্ণ ইসলামকে এবং পরবর্তীতে ইসলামের কিছু কিছু বিষয় যা অষ্পষ্ট তা ইমামদের ইজতিহাদী ফলাফলে সমাধান করা অনেক বিষয়কেও বিদায়াতের পর্যায়ে নিয়ে ইসলামকে পেকেজ করার মানসিকতায় অহেতুক সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমি সত্যকে সব সময় সামনে রেখে নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝি তাই লিখতে চেষ্টা করি। আত্নপ্রচারে নয়,কেবল প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেখিয়ে দেয়া পথ আমার মত সাধারণদের মাঝে পৌঁছে দিয়ে মহান রব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জন করাই অধমের একমাত্র উদ্দেশ্য। ইসলামী শরীয়তে হারাম,শিরীক,বিদআত এ শব্দগুলির ব্যবহার সাবধানে করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী কর্তব্য। মনের হীনস্বার্থে এসব শব্দ ব্যবহার করে মুসলীম সমাজে ফিতনা যারা সৃষ্টি করে তাদের কতটুকু ক্ষমা করবেন তা আল্লাহপাকই ভালো জানেন।
'বিদআত' আরবি শব্দ। আভিধানিক অর্থ নতুনত্ব বা নতুন আবিষ্কার। আর পরিভাষায় মোল্লা ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন وَفِى الشَّرْعِ اِحْدَاثُ مَالَمْ يَكُنْ فِىْ عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ বিদআত হচ্ছে শরীয়তে ওই ধরনের কাজের সূচনা করা, যা হুযুরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে ছিল না।(মিরকাত শরহে মিশকাত) অর্থাৎ ইসলামী শরীয়তে এমন কিছু আবিষ্কার বা সংযোজন করা যা শরীয়তের মূল বিষয়ের পরিপন্তী এবং রসুলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের রেখে যাওয়া কিতাবুল্লাহ (কুরআনে করীম) এবং সুন্নাহর পরিপন্তী। বিদাআতের ব্যপারে আমার নবী কঠোরভাবে সাবধান করেছেন।কারণ এই বিদাআতের কারণে মানুষ ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা থেকে হারিয়ে গিয়ে সিরাতাল মুস্তাকীমের পথ ভুলে যেতেপারে। রসুলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেছেন :
إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللهِ وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ وَكُلُّ ضَلاَلَةٍ فِي النَّارِ. رواه مسلم والنسائى.
নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল নব উদ্ভাবিত বিষয়।আর নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম। (নাসায়ী ১৫৬০,মুসলিমঃ ৭৬৮)
---উপরোক্ত হাদিস শরীফটিতে ভালো করে লক্ষ্য করুণ এতে দ্বীনের ব্যপারে এমন কাজ যা শরীয়তের বিপরীতে অবস্থান অর্থাৎ যা পালনে-আমলে রয়েছে ষ্পষ্ট ভ্রষ্টতা এবং যে কাজ কুরআন সুন্নাহর বিপরীতে অবস্থান করে ইসলামের সম্পূর্ণ পরিপন্তী যাতে রয়েছে গোমরাহী। যা পালনে ইবাদাতের মূল বিষয়ে পরিবর্তন নিয়ে আসে অর্থাৎ ফরজ,ওয়াজীব,সুন্নাতের মাঝে নব সংযোজন করে ইবাদাতের মূল আমলে পরিবর্তন নিয়ে আসা। আর সেটিই হচ্ছে সম্পূর্ণ রুপে বিদাআত যার গন্তব্য জাহান্নাম।
যেমন-বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম" সশব্দে না পাঠ করা প্রসঙ্গে
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ إِيَاسٍ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عَبَايَةَ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، قَالَ سَمِعَنِي أَبِي، وَأَنَا فِي الصَّلاَةِ، أَقُولُ: (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) فَقَالَ لِي أَىْ بُنَىَّ مُحْدَثٌ إِيَّاكَ وَالْحَدَثَ . قَالَ وَلَمْ أَرَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ أَبْغَضَ إِلَيْهِ الْحَدَثُ فِي الإِسْلاَمِ يَعْنِي مِنْهُ . قَالَ وَقَدْ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعَ أَبِي بَكْرٍ وَمَعَ عُمَرَ وَمَعَ عُثْمَانَ فَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْهُمْ يَقُولُهَا فَلاَ تَقُلْهَا إِذَا أَنْتَ صَلَّيْتَ فَقُلِ: (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَعَلِيٌّ وَغَيْرُهُمْ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لاَ يَرَوْنَ أَنْ يَجْهَرَ بِـ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) قَالُوا وَيَقُولُهَا فِي نَفْسِهِ .
হযরত ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমার পিতা (আবদুল্লাহ) আমাকে নামাযের মধ্যে শব্দ করে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম' পাঠ করতে শুনলেন। তিনি বললেন, হে বৎস! এটা তো বিদ'আত; বিদ'আত হতে সাবধান হও। তারপর তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবাদের চেয়ে অন্য কাউকে ইসলামে বিদ'আতের প্রচলন করার প্রতি এত বেশী ঘৃণা ও শত্রুতা পোষণ করতে দেখিনি। তিনি আরো বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বাকার রাদিআল্লাহু আনহু, উমার রাদিআল্লাহু আনহু ও উসমান রাদিআল্লাহু আনহু-এর সাথে নামায আদায় করেছি। কিন্তু তাদের কাউকে বিসমিল্লাহ সশব্দে পাঠ করতে শুনিনি। অতএব তুমিও সশব্দে পাঠ কর না। যখন তুমি নামায আদায় করবে তখন আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন” এর মাধ্যমে কিরা'আত শুরু করবে। (তিরমিজী)
বিদআত বিষয়টি নিকৃষ্ট এ জন্যই বিদআতকে ভ্রষ্টতা বলে অভিহিত করা হয়েছে।বিদআতের সাথে শরীয়তের কোন ইবাদাতের মিল থাকতে পারেনা।কুরআনে পাকের হুকুম এবং আমার রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফেয়লি এবং কওলিতে নির্দেশিত যা দেখিয়ে দিয়েছেন তার বিপরীতে অন্যভাবে নতুনত্ত্ব দিয়ে পালন করাই প্রকৃত বিদাআত।
আমি বিদাআতের প্রকার উল্লেখ করছিনা কারণ বিদাআত বলতে যতটুকু বুঝি সুরা মায়িদার ৩ আয়াতে আল্লাহ রব্বুল আলামীন যে ইসলামের পূর্নাঙ্গতার কথা বলেছেন তার মাঝে নতুন কিছু সংযোজন করাই বিদাআত। বর্তমানে আমাদের সমাজে ''বিদাআত'' শব্দের ব্যবহার হচ্ছে নিজের স্বার্থানুযায়ী।যার ফলে একে অন্যের বিরুদ্ধে অযাচিত ফতোয়া দিয়ে দিনের পর দিন মুসলমানের মাঝে যোজন বিয়োজন দূরত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মাঝে বিভেধ সৃষ্টিকারী কোন আলেম- কাল কিয়ামতের দিনে আল্লাহর দরবারে রেহাই পাবেনা। মুসলমানদের মাঝে বিভেধ সৃষ্টি করা পাপ।বাংলাদেশে ইসলামের মূল বিষয়ে ইবাদাতের কোনো আমল নিয়ে বিভেধও নেই বিতর্কও নেই। সকলেই একই মতের একই পথের। সকলে রসুলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তবে তাবেঈন যেভাবে ইসলাম পালন করেছেন সেভাবেই পালন করে থাকে। যা শতাব্দীর পর শতাব্দী একি নিয়মে চলে আসছে।হয়তোবা আকিদাগত কিছু মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু বর্তমানে কিছু আলেম নামের বিভেধ সৃষ্টিকারী লোক কথায় কথায় ছহি যঈফের কথা বলে যে বা-যারা হাদিস কিংবা উসুলে হাদিসের নুন্যতম ধারনাও নেই তাদের মনে সন্দেহের বীজ রুপন করছেন এই বলে -এটি সহীহ হাদিস দিয়ে প্রমাণ নয় সুতরাং এটা পরিতায্য। তারা এভাবে বিতর্ক জোড়ে দিয়ে বিভিন্ন মাসয়ালা নিয়ে বিভেধ সৃষ্টি করে চলছে মুসলমানদের মাঝে। ইসলামী অনৈক্যের মূলে এখন তারাই সবচেয়ে বড় অবদান রাখছেন।
আসুন জেনে নিই সব নতুন কাজ কিন্তু বিদাআত নয়। সবকিছুকে বিদাআতের পর্যায়ে নিয়ে ফতোয়া দেয়াটাও ইসলামে ফিত্নাবাজ হিসেবে গন্য হবে। যেমনঃ জুমু‘আহর দিনের আযান।
آدَمُ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ كَانَ النِّدَاءُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوَّلُهُ إِذَا جَلَسَ الْإِمَامُ عَلَى الْمِنْبَرِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَلَمَّا كَانَ عُثْمَانُوَكَثُرَ النَّاسُ زَادَ النِّدَاءَ الثَّالِثَ عَلَى الزَّوْرَاءِ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ الزَّوْرَاءُ مَوْضِعٌ بِالسُّوقِ بِالْمَدِينَةِ.
হযরত সায়িব ইবনু ইয়াযীদ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর রাদিআল্লাহু আনহু এবং উমর রাদিআল্লাহু আনহু -এর সময় জুমু‘আহর দিন ইমাম যখন মিম্বরের উপর বসতেন, তখন প্রথম আযান দেয়া হত। পরে যখন ‘উসমান রাদিআল্লাহু আনহু খলীফাহ হলেন এবং লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেল, তখন তিনি ‘যাওরাহ’ হতে তৃতীয়* আযান বৃদ্ধি করেন। আবূ ‘আবদুল্লাহ্ (ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেন, ‘যাওরাহ’ হল মাদ্বীনার অদূরে বাজারের একটি স্থান। (সহীহ বুখারী)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كَانَ لَهُ أَجْرُهَا وَمِثْلُ أُجُورِهِمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ سَنَّ سُنَّةً سَيِّئَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كَانَ عَلَيْهِ وِزْرُهُ وَمِثْلُ أَوْزَارِهِمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا " .
হযরত আবূ জুহাইফাহ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি কোন ভালো প্রথার প্রচলন করলে এবং তার পরে তদনুসারে কাজ করলে তার জন্য এ কাজের পুরস্কার রয়েছে, অধিকন্তু তার অনুসরণকারীদের সমপরিমাণ পুরস্কারও রয়েছে। অবশ্য তাতে তাদের পুরস্কারে কোন ঘাটতি হবে না। পক্ষান্তরে কোন ব্যাক্তি কোন মন্দ প্রথার প্রচলন করলে এবং তার পরে তদনুযায়ী কাজ করা হলে তার জন্য এ কাজের গুনাহ রয়েছে এবং যারা তদনুসারে কাজ করবে তাদের গুনাহের সমপরিমাণ তার উপর বর্তাবে, এতে তাদের গুনাহের পরিমাণ কিছুই কমবে না। (সুনানে ইবনে মাজাহ)
এই হাদিস শরিফটি একিভাবে হযরত জারী রাদিআল্লাহু আনহু এবং হাদিস বর্নণাকারীদের সম্রাট হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু বর্নণা করেছেন।
উপরোক্ত হাদীসের প্রথম আমলটা যেন করেছিলেন খলীফাতুল মুসলেমীন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রাদ্বিআল্লাহু আনহু তারাবির সালাত জামায়াতের সাথে পড়ার প্রবর্তন করে। এতে বুঝা যায় বিদাআতের ধরনের মাঝেও পার্থক্য রয়েছে, এক উত্তম বিদআত অন্যটি নিকৃষ্ট বিদআত। বিদআতে হাসানা মুসলমানরা করলেও বিদাআতে সাইয়্যা অর্থাৎ নিকৃষ্ট বিদাআত করা একজন মুসলমানের পক্ষে অসম্ভব। আমি আর লম্বা করতে চাইনা শুধু এতটুকু বলবো ফিত্না যেন সৃষ্টিকরা না হয়। আর যদি একে অন্যের বিপক্ষে ইচ্ছানুযায়ী ফতোয়া দিতে থাকে তবে মনে রাখতে হবে কেউ তথাকথিত ফতোয়ার ঊর্ধে নয়। ক্ষমা চেয়ে বিদায় নিচ্ছি কারণ আমার বুঝেও ভুল হতেপারে আল্লাহ ক্ষমা করুক আমাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন