এক খৃষ্টান পাদ্রি,সে প্রায় সময় আমাকে একটা কাগজ দিতো আর বলতো কাগজটি পড়ে দেখতে। এভাবে সে একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করলো কি বুঝলে পড়ে? আমি প্রথম থেকেই দেখলাম সে তার ধর্মপ্রচার করে যাচ্ছে,কাগজটি ছিলো স্পেনীশ ভাষায়। বুঝেও না বুঝার ভান করে উত্তরে বললাম দেখ পাদ্রি, আমি তোদের ভাষাটা তেমন ভালো করে বুঝিনা। পাদ্রি বলে, তো আমাকে আগে বলিসনি কেন? আমি তোকে বুঝিয়ে দিতাম! সে আরো বললো তোর দেশের ভাষা কোনটি বল আমি সেই ভাষায় কাগজ নিয়ে আসবো। এরা নিজেদের ধর্মকে সহজে প্রসার প্রচারে বিভিন্ন ভাষায় কাগজগুলো তৈরি করে রেখেছেন। বললাম লাগবেনা,পাদ্রি বলে- না না আমার সময় আছে আমি তোকে বুঝাতে সক্ষম হব। আমি অবাক হলাম তার এই আগ্রহ দেখে। এ দেশে তাদের নিজেদের অর্ধেকের চেয়েও বেশী মানুষ যারা ধর্ম মানেনা,ধর্মের প্রতি নুন্যতম জ্ঞানও রাখেনা। ধর্ম সম্পর্কে জানার আগ্রহটাই তাদের নেই। কিন্তু তারা তাদের ইংলেশিয়া যাকে আমরা গির্জা বলি অর্থাত্ ধর্মীয় অনুদানে নিয়োগ প্রাপ্তরা রাস্তায় রাস্তায় ঘরের দরজায় গিয়ে মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে বুঝাতে চেষ্টা করে। আর যদি লোকটি অন্যদেশি কিংবা অন্য ধর্মের মনেহয় তার প্রতি তাদের আগ্রহটা দ্বিগুন ভেড়ে যায়। তারা আপ্রাণ চেষ্টায় থাকে ভিনদেশী কাউকে পেলে তাকে কী করে খৃষ্টান ধর্মে দিক্ষীত করা যায়। পাদ্রির সাথে এভাবে অনেক্ষন কথা বলার পর বললাম, দেখ আমি মুসলমান। একজন মুসলমানকে তুই হাজার চেষ্টা করলেও তোর কোন ফায়দা হবেনা বরং তোদের ধর্মের যারা আস্তাহারা, ধর্ম বিমূখ হয়ে পড়ছে তাদেরকে কীভাবে এক সৃষ্টিকর্তাতে বিশ্বাস করাতে পারিস তাই চেষ্টা কর। সে আমার কথা শুনে কিছুক্ষন বোবারমত চুপচাপ থাকার পর অবশ্য বর্তমান বিশ্বের ইসলামের বিষপোড়া ধর্মীয় জিহাদের নামে পাগলামী নিয়ে ইসলামকে কঠাক্ষ করতে চাইলো- কিন্তু তাকে সে সুযোগটা দিলামনা। তাকে উল্টো বুঝালাম ইসলামের প্রকৃত আদর্শটা আসলে কেমন হওয়া চাই। সে কিন্তু চেষ্টায় আছে আমাকে কীভাবে বুঝানো যায় আর ধর্মীয় উগ্রতার দোষারোপে দোষারোপ করে ঘায়েল করা যায়। শেষে অপারগ হয়ে পাদ্রি বলে তোদের নবী মুহাম্মদ আমাদের ধর্মকে চুরি করে নতুন ধর্ম সৃষ্টি করেছে। জিজ্ঞেস করলাম কেমনে? সে বলে,তোদের কুরআনে আমার খেসুছ (jesus স্পেনীশ) অর্থাত্ ঈশা আলাইহিস সালামের অনেক কাহিনী রয়েছে যা দেখে পড়ে মুহাম্মদ তোদের কুরআনে ঢ়ুকায়েছে। তাকে জিজ্ঞেস করলাম তুই কী জেনে বলছিস নাকি ধারনা করে বলছিস? বলে না এটা আমাদের সবাই জানে। আশ্চর্য্য হলাম তাদের এমন মূর্খ ধারনা দেখে ! এরপর তাকে অনেক্ষন বুঝালাম। পরে বল্লাম দেখ পাদ্রি, আমার দয়াল নবী মুহাম্মদ মুস্তফা ﷺ এমন একজন নবী যিনি দুনিয়াবী হায়াতে কোন প্রাতিষ্ঠানীক শিক্ষা নেয়নি। তাকে বল্লাম তুই কী জানিস সেই আমলে পবিত্র কুরআনের আয়াতেরমত একটি আয়াত হাজার চেষ্টা করেও তখনকার পন্ডিতরা লিখতে পারেনি! সে বল্ল না। বল্লাম সেই আমলে অর্থাত্ আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর পূর্বেও নানান অজুহাতে ইসলামের অমিয় বাণীকে অশ্বীকার করা হয়েছিলো কিন্তু পারেনি থামিয়ে দিতে। পারেনি অশ্বীকার করতে সত্যেকে। আমার দয়াল নবীর সত্যের অমিয় বাণীতে তখনকার জাহেলিয়াত আলোকিত হয়েছিলো। আমার নবী ﷺ বলেছেন তিনি শিক্ষক হয়ে এসেছেন ধরার বুকে। দুনিয়াবী পাঠদান তোর আর আমার জন্য এটা নবীদের জন্য নয়, এটাই সবচেয়ে বড় পার্থক্য নবী আর উম্মতের মাঝে। আমরা সাধারণ আর নবীরা অসাধারণ। তারা বলতে পারে গায়েব তথা অদৃশ্যের খবর যা আমার আর তোর সম্ভব নয়। সৃষ্টিকর্তার খবর যারা আমাদের প্রকাশ করে সৃষ্টিকর্তাকে চিনিয়েছেন তারাই নবী। আর যদি তোদের নবীর অর্থাত্ ঈসা আলাইহিস সালামের কথা পবিত্র কুরআনে বলে থাকেন, তো তাতে এটাই প্রমাণিত যে আমার নবী সত্য নবী যার জ্ঞান কোন যুগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তোদের নবী ঈসার ৫৭০ বছর পরে এসে যদি তোর নবীর কাহিনী বলতে পারে-এতে কি প্রমাণ করেনা আমার নবী আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রেরিত নবী! ।
তাকে আরো বল্লাম দেখ, তখনকার সময় আমার নবীর ﷺ অনেক মুজেজাকেও অশ্বীকার করা হয়েছিলো। সত্য মিথ্যের পার্থক্য না বুঝে যাদুকর বলে আখ্যায়িত করে অবিশ্বাসের দর্পনে নিজেদের অজ্ঞতায় পরিপূর্ণ কুতচিত্ চেহরা দেখেছিলো। সে আমার কথাগুলো মন দিয়ে শুনার পর বলে কুরআনে কি মুসেসের ঘটনা আছে? বললাম মুসেস (মুসা আলাইহিস সালাম) না শুধু আব্রাহাম অর্থাত্ ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম সহ সমস্ত সৃষ্টিজগতের সব কিছুই উল্লেখ করা আছে আমার কুরআনে। এমন কোন বিষয় নেই যার সমাধান নেই এ কুরআনে করীমে। অতীত থেকে শুরু করে আগামীর পথচলার পথে এমনকি পরকালের সবকিছুই বর্ণনা করা হয়েছে। পাদ্রি দেখলো- এখানে আর বেশিক্ষন থাকলে হয়তো নিজের বিশ্বাসের উপর আঘাত আসতে পারে ভেবে আবার দেখা হবে বলে সেই যে গেল অনেকদিন আর দেখিনি। আজ হঠাৎ তার সাথে রাস্তায় দেখা হলে সে দেখি কথা বেশি না বাড়িয়ে সুজা চলে যাচ্ছে।
✏ইমরান বিন বদরী ≪
তাকে আরো বল্লাম দেখ, তখনকার সময় আমার নবীর ﷺ অনেক মুজেজাকেও অশ্বীকার করা হয়েছিলো। সত্য মিথ্যের পার্থক্য না বুঝে যাদুকর বলে আখ্যায়িত করে অবিশ্বাসের দর্পনে নিজেদের অজ্ঞতায় পরিপূর্ণ কুতচিত্ চেহরা দেখেছিলো। সে আমার কথাগুলো মন দিয়ে শুনার পর বলে কুরআনে কি মুসেসের ঘটনা আছে? বললাম মুসেস (মুসা আলাইহিস সালাম) না শুধু আব্রাহাম অর্থাত্ ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম সহ সমস্ত সৃষ্টিজগতের সব কিছুই উল্লেখ করা আছে আমার কুরআনে। এমন কোন বিষয় নেই যার সমাধান নেই এ কুরআনে করীমে। অতীত থেকে শুরু করে আগামীর পথচলার পথে এমনকি পরকালের সবকিছুই বর্ণনা করা হয়েছে। পাদ্রি দেখলো- এখানে আর বেশিক্ষন থাকলে হয়তো নিজের বিশ্বাসের উপর আঘাত আসতে পারে ভেবে আবার দেখা হবে বলে সেই যে গেল অনেকদিন আর দেখিনি। আজ হঠাৎ তার সাথে রাস্তায় দেখা হলে সে দেখি কথা বেশি না বাড়িয়ে সুজা চলে যাচ্ছে।
✏ইমরান বিন বদরী ≪