প্রয়োজনীয় কিছু হাদিস শরীফ
==============• ✏ইমরান বিন বদরী
নাহমাদুহু ওয়ানুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম,আম্মা বা’দ।
একজন মুসলমানের প্রাত্যহিক জীবনে কিছু প্রয়োজনীয় হাদীস শরীফ যা আমলে আমাদের জীবনের অনেকটা পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।আশাকরি নিজ দায়িত্বে অন্য একজন মুসলমান ভাই পড়ে আমল করার জন্য শেয়ার করবেন।হাদিস শরীফ গুলি ইমাম ইসমাঈল বুখারী (রহ:) উনার বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ সহীহ বুখারীতে উল্লেখ করেছেন।
❋ হযরত আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেনঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার দু-জন প্রতিবেশী আছে। আমি তাদের কার নিকট হাদিয়া পাঠাব? তিনি বললেনঃ যার দরজা (ঘর) তোমার নিকটবর্তী, তার কাছে (পাঠাবে)।
❋ হযরত জাবির ইবনুূু আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত।তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক সৎ কাজই সাদাকা।
❋ হযরত আনাস ইবনুূু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। একদা এক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করলো। লোকেরা উঠে (তাকে মারার জন্য) তার দিকে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার পেশাব করা বন্ধ করো না। তারপর তিনি এক বালতি পানি আনালেন এবং পানি পেশাবের উপর ঢেলে দেয়া হলো
❋ হযরত ইবনুূু হাতিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত। তিনি বলেন-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বেচে থাক এক টুকরা খেজুর দিয়ে হলেও। যদি তা না পাও তা হলে মধুর ভাষা বিনিময়ে।
❋ হযরত আবদুল্লাহ ইবনুূু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক উত্তম ঐ ব্যাক্তি, যে স্বভাবে সর্বোত্তম।
❋ হযরত নুমান ইবনুূু বশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি মু-মিনদের পারস্পরিক দয়া ভালবাসা ও সহানূভূতি প্রদর্শনে একটি দেহের ন্যায় দেখতে পাবে।যখন দেহের একটি অঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয় তখন শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রাত জাগে এবং জ্বরে অংশ গ্রহণ করে
❋ হযরত আনাস ইবনুূু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলমান যদি কোন গাছ লাগায়,তা থেকে কোন মানুষ বা জানোয়ার যদি কিছু খায় তবে তা তার জন্য সাদাকা হিসেবে গণ্য হবে।
❋ হযরত জারীর ইবনুূু আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যাক্তি (সৃষ্টির প্রতি) দয়া করে না, (স্রষ্টার পক্ষ থেকে) তার প্রতি দয়া করা হবে না
❋ হযরত আবূ সুরাইয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বলছিলেনঃ আল্লাহর কসম! সে ব্যাক্তি মুমিন নয়। আল্লাহর কসম! সে লোক মুমিন নয়! আল্লাহর কসম। সে ব্যাক্তি মুঁমিন নয়। জিজ্ঞাসা করা হলঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ কে সে লোক? তিনি বললেনঃ যে লোকের প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে না।
❋ হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন কোন জিনিসই চাওয়া হয় নি,যার উত্তরে তিনি না- বলেছেন।
❋ হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি দশ বছর পর্যন্ত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খেদমত করেছি।কিন্তু তিনি কখনো আমার প্রতি উঃ শব্দ বলেন নি। একথা জিজ্ঞাসা করেননি তুমি এ কাজ কেন করলে এবং কেন করলে না?
❋ হযরত আবদুল্লাহ ইবনুূু যামআ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের বাযূ নির্গমনে কাউকে হাসতে নিষেধ করেছেন।
❋ হযরত আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন সে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানের গালি দেয়া ফাসিকী (কবীরা গুনাহ) এবং এক অন্যের সাথে মারামারি করা কুফরী।
❋ হযরত হুযায়ফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি বললেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, চোগলখোর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
❋ হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কিয়ামতের দিন তুমি আল্লাহর নিকট ঐ ব্যাক্তিকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট পাবে যে দুমুখো। সে এদের সামনে একরুপ নিয়ে আসতো আর ওদের কাছে অন্য রুপে ধরা দিত।
❋ হযরত আনাস ইবনুূু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা একে অন্যের প্রতি বিদ্যেষভাব পোষন করো না, পরস্পর হিংসা করো না পরস্পর বিরুদ্ধাচরন করো না।তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে থেকেো।কোন মুসলমানের জন্য তিন দিনের বেশী তার ভাইকে পরিত্যাগ করে থাকা জায়িয নয়।
❋ হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা অনুমান থেকে বেচে থেকেো। কারণ অনুমান বড় মিথ্যা ব্যাপার। আর কারো দোষ অনুসন্ধান করো না, গোয়েন্দাগিরী করো না, একে অন্যকে ধোঁকা দিও না, আর পরস্পর হিংসা করো না, একে অন্যের প্রতি বিদ্ব্যেষভাব পোষণ করো নাএবং পরস্পর বিরুদ্ধাচরন করো না। বরং সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে থেকো।
❋ হজরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত,নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাতে শয্যা গ্রহণের সময় তালুদ্বয় একত্রিত করে তাতে ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সূরা আল-ইখলাস) এবং ‘ক্বুল ‘আউযুবি রব্বিল ফালাক্ব’ (সূরা আল-ফালাক) এবং ‘ক্বুল আ’উযু বিরব্বিন্ নাস’ (সূরা আন-নাস) পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর হাতদ্বয় দ্বারা শরীরের যতদূর পর্যন্ত বুলানো সম্ভব হত, ততদূর পর্যন্ত বুলিয়ে নিতেন।স্বীয় মাথা, চেহারা ও শরীরের সামনের দিক থেকে আরম্ভ করতেন।এভাবে তিনি তিন বার করতেন।”
==============• ✏ইমরান বিন বদরী
নাহমাদুহু ওয়ানুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম,আম্মা বা’দ।
একজন মুসলমানের প্রাত্যহিক জীবনে কিছু প্রয়োজনীয় হাদীস শরীফ যা আমলে আমাদের জীবনের অনেকটা পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।আশাকরি নিজ দায়িত্বে অন্য একজন মুসলমান ভাই পড়ে আমল করার জন্য শেয়ার করবেন।হাদিস শরীফ গুলি ইমাম ইসমাঈল বুখারী (রহ:) উনার বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ সহীহ বুখারীতে উল্লেখ করেছেন।
❋ হযরত আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেনঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার দু-জন প্রতিবেশী আছে। আমি তাদের কার নিকট হাদিয়া পাঠাব? তিনি বললেনঃ যার দরজা (ঘর) তোমার নিকটবর্তী, তার কাছে (পাঠাবে)।
❋ হযরত জাবির ইবনুূু আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত।তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক সৎ কাজই সাদাকা।
❋ হযরত আনাস ইবনুূু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। একদা এক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করলো। লোকেরা উঠে (তাকে মারার জন্য) তার দিকে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার পেশাব করা বন্ধ করো না। তারপর তিনি এক বালতি পানি আনালেন এবং পানি পেশাবের উপর ঢেলে দেয়া হলো
❋ হযরত ইবনুূু হাতিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত। তিনি বলেন-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বেচে থাক এক টুকরা খেজুর দিয়ে হলেও। যদি তা না পাও তা হলে মধুর ভাষা বিনিময়ে।
❋ হযরত আবদুল্লাহ ইবনুূু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক উত্তম ঐ ব্যাক্তি, যে স্বভাবে সর্বোত্তম।
❋ হযরত নুমান ইবনুূু বশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি মু-মিনদের পারস্পরিক দয়া ভালবাসা ও সহানূভূতি প্রদর্শনে একটি দেহের ন্যায় দেখতে পাবে।যখন দেহের একটি অঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয় তখন শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রাত জাগে এবং জ্বরে অংশ গ্রহণ করে
❋ হযরত আনাস ইবনুূু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলমান যদি কোন গাছ লাগায়,তা থেকে কোন মানুষ বা জানোয়ার যদি কিছু খায় তবে তা তার জন্য সাদাকা হিসেবে গণ্য হবে।
❋ হযরত জারীর ইবনুূু আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যাক্তি (সৃষ্টির প্রতি) দয়া করে না, (স্রষ্টার পক্ষ থেকে) তার প্রতি দয়া করা হবে না
❋ হযরত আবূ সুরাইয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বলছিলেনঃ আল্লাহর কসম! সে ব্যাক্তি মুমিন নয়। আল্লাহর কসম! সে লোক মুমিন নয়! আল্লাহর কসম। সে ব্যাক্তি মুঁমিন নয়। জিজ্ঞাসা করা হলঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ কে সে লোক? তিনি বললেনঃ যে লোকের প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে না।
❋ হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন কোন জিনিসই চাওয়া হয় নি,যার উত্তরে তিনি না- বলেছেন।
❋ হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি দশ বছর পর্যন্ত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খেদমত করেছি।কিন্তু তিনি কখনো আমার প্রতি উঃ শব্দ বলেন নি। একথা জিজ্ঞাসা করেননি তুমি এ কাজ কেন করলে এবং কেন করলে না?
❋ হযরত আবদুল্লাহ ইবনুূু যামআ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের বাযূ নির্গমনে কাউকে হাসতে নিষেধ করেছেন।
❋ হযরত আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন সে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানের গালি দেয়া ফাসিকী (কবীরা গুনাহ) এবং এক অন্যের সাথে মারামারি করা কুফরী।
❋ হযরত হুযায়ফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি বললেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, চোগলখোর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
❋ হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কিয়ামতের দিন তুমি আল্লাহর নিকট ঐ ব্যাক্তিকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট পাবে যে দুমুখো। সে এদের সামনে একরুপ নিয়ে আসতো আর ওদের কাছে অন্য রুপে ধরা দিত।
❋ হযরত আনাস ইবনুূু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা একে অন্যের প্রতি বিদ্যেষভাব পোষন করো না, পরস্পর হিংসা করো না পরস্পর বিরুদ্ধাচরন করো না।তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে থেকেো।কোন মুসলমানের জন্য তিন দিনের বেশী তার ভাইকে পরিত্যাগ করে থাকা জায়িয নয়।
❋ হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা অনুমান থেকে বেচে থেকেো। কারণ অনুমান বড় মিথ্যা ব্যাপার। আর কারো দোষ অনুসন্ধান করো না, গোয়েন্দাগিরী করো না, একে অন্যকে ধোঁকা দিও না, আর পরস্পর হিংসা করো না, একে অন্যের প্রতি বিদ্ব্যেষভাব পোষণ করো নাএবং পরস্পর বিরুদ্ধাচরন করো না। বরং সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে থেকো।
❋ হজরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত,নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাতে শয্যা গ্রহণের সময় তালুদ্বয় একত্রিত করে তাতে ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সূরা আল-ইখলাস) এবং ‘ক্বুল ‘আউযুবি রব্বিল ফালাক্ব’ (সূরা আল-ফালাক) এবং ‘ক্বুল আ’উযু বিরব্বিন্ নাস’ (সূরা আন-নাস) পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর হাতদ্বয় দ্বারা শরীরের যতদূর পর্যন্ত বুলানো সম্ভব হত, ততদূর পর্যন্ত বুলিয়ে নিতেন।স্বীয় মাথা, চেহারা ও শরীরের সামনের দিক থেকে আরম্ভ করতেন।এভাবে তিনি তিন বার করতেন।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন