মসজিদ নির্মাণ এর ফজিলত।================• ✏ইমরান বিন বদরী
সমস্ত প্রশংসা সৃষ্টিজগতের রব রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তায়ালার জন্য; আর সালাত (দুরূদ) ও সালাম আমাদের নবী দোজাহানের সরদার বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী সায়্যাদুল মুরসালীন সাফিউল মুজ্নেবিন খাতামান নাবিয়্যীন হাবিবুল্লাহ প্রিয় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি।
সমস্ত প্রশংসা সৃষ্টিজগতের রব রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তায়ালার জন্য; আর সালাত (দুরূদ) ও সালাম আমাদের নবী দোজাহানের সরদার বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী সায়্যাদুল মুরসালীন সাফিউল মুজ্নেবিন খাতামান নাবিয়্যীন হাবিবুল্লাহ প্রিয় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি।
মসজিদ (আরবিতে: مسجد ) শব্দের অর্থ সেজদা করার স্থান।মসজিদ আমাদের দলবদ্ধভাবে নামাজ পড়ার জন্য নির্মিত স্থাপনা।সাধারণভাবে, যেসব ইমারত বা স্থাপনায় মুসলমানেরা একত্র হয়ে প্রাত্যহিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ (আরবি: صلاة) আদায় করেন,তাকে মসজিদ বলে।আবার যেসব বড় আকারের মসজিদগুলো নিয়মিত নামাজের সাথে সাথে শুক্রবারের জুম'আর (صلاة الجمعة) নামাজ আদায় হয় এবং অন্যান্য ইসলামিক কার্যাবলী সম্পাদিত হয়,সেগুলো জামে মসজিদ (مسجد جامع) নামে অভিহিত।
মসজিদ আমাদের বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাবলীর প্রাণকেন্দ্র।
নামাজ যে কোনো পাক জায়গায় পড়া যায়।তবে মসজিদে নামাজ পড়ার সওয়াব অত্যধিক।পাঞ্জেগানা মসজিদে এক রাকায়াত বাইরে ২৫ রাকাত,জুমআর মসজিদে এক রাকায়াতে বাইরে ৫ শত রাকায়াতের,মসজিদে আকসা ও মসজিদে নববীর এক রাকায়াত ৫০ হাজার রাকায়াতের এবং মসজিদুল হারামের এক রাকায়াত বাইরে এক লাখ রাকায়াত নামাজের সমান।এতেই বুঝা যায় যে,মসজিদে নামাজ পড়লে কি সওয়াব হয়।মসজিদ নির্মাণ ও উহার আবাদ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনুল কারীমে ➲ মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللّهِ مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلاَّ اللّهَ فَعَسَى أُوْلَـئِكَ أَن يَكُونُواْ مِنَ الْمُهْتَدِينَ
নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত; আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে। (সূরা তওবা আয়াত ১৮)
উক্ত আয়াতের আলোকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে,মসজিদ আবাদ করবে ঈমানদারগণ। ঈমানদারের মাঝে তারাই মহান আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়,যারা অত্যাধিক তাকওয়াবান।তাই মসজিদের মোতাওয়ালি্ল হওয়া চাই তাকওয়াবান।
মসজিদ আমাদের বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাবলীর প্রাণকেন্দ্র।
নামাজ যে কোনো পাক জায়গায় পড়া যায়।তবে মসজিদে নামাজ পড়ার সওয়াব অত্যধিক।পাঞ্জেগানা মসজিদে এক রাকায়াত বাইরে ২৫ রাকাত,জুমআর মসজিদে এক রাকায়াতে বাইরে ৫ শত রাকায়াতের,মসজিদে আকসা ও মসজিদে নববীর এক রাকায়াত ৫০ হাজার রাকায়াতের এবং মসজিদুল হারামের এক রাকায়াত বাইরে এক লাখ রাকায়াত নামাজের সমান।এতেই বুঝা যায় যে,মসজিদে নামাজ পড়লে কি সওয়াব হয়।মসজিদ নির্মাণ ও উহার আবাদ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনুল কারীমে ➲ মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللّهِ مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلاَّ اللّهَ فَعَسَى أُوْلَـئِكَ أَن يَكُونُواْ مِنَ الْمُهْتَدِينَ
নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত; আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে। (সূরা তওবা আয়াত ১৮)
উক্ত আয়াতের আলোকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে,মসজিদ আবাদ করবে ঈমানদারগণ। ঈমানদারের মাঝে তারাই মহান আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়,যারা অত্যাধিক তাকওয়াবান।তাই মসজিদের মোতাওয়ালি্ল হওয়া চাই তাকওয়াবান।
#মসজিদ নির্মাণ ও উহার ফজিলত বিষয়ক হাদিস শরীফ এর দিকে লক্ষ্য করলে উহার গুরুত্ব আরো অনুধাবন করা সম্ভব।হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,من بنى لله مسجدا قدر مفحص قطاة بنى الله له بيتا فى الجنة যে ব্যক্তি আল্লাহ সন্তুষ্টির নিমিত্তে পাখির ডিম পাড়ার স্থান পরিমান মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন। (আহমদ)
➲ হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ্ তার জন্য বেহেশতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন।(বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
➲ হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম বলেছেন,أحب البلاد إلى الله مساجدها، وأبغض البلاد إلى الله أسواقها
স্থান সমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রিয় স্থান হলো আল্লাহর নিকট মসজিদ সমূহ এবং সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য স্থান হলো বাজারসমূহ।(মুসলিম শরীফ/মিশকাত-৬৯৬)
➲ হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ নির্মাণ করতে এবং মসজিদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও উহাতে সুগন্ধি লাগাতে নির্দেশ দিয়েছেন।(আবু দাউদ,তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
➲ হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ্ তার জন্য বেহেশতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন।(বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
➲ হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম বলেছেন,أحب البلاد إلى الله مساجدها، وأبغض البلاد إلى الله أسواقها
স্থান সমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রিয় স্থান হলো আল্লাহর নিকট মসজিদ সমূহ এবং সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য স্থান হলো বাজারসমূহ।(মুসলিম শরীফ/মিশকাত-৬৯৬)
➲ হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ নির্মাণ করতে এবং মসজিদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও উহাতে সুগন্ধি লাগাতে নির্দেশ দিয়েছেন।(আবু দাউদ,তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
এ সকল হাদিস ছাড়াও আরো বহু হাদিস শরীফে মসজিদ নির্মাণ ও উহার ফজিলত বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।মসজিদের আদব রক্ষা করা।মসজিদে দুনিয়াবী কথা না বলা।মসজিদ নিয়ে গর্ব না করা।এ সকল বিষয় মেনে চলে আমাদের জীবনে মসজিদের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মসজিদের তত্ত্বাবধান যথাযথভাবে করার জন্য আল্লাহ্ তায়ালার সাহায্য কামনা করা কর্তব্য।
#সমাজে মসজিদের ভুমিকা: পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা উত্তম স্থান মসজিদ।তাই মসজিদ আল্লাহর ঘর হিসেবে বিবেচিত।মসজিদে মুসলিমগণ দ্বীনের মূলভিত্তি সালাত দৈনিক পাঁচ বার আদায় করে থাকে।দ্বীনের মূল ভিত্তি আদায়ের স্থান বিধায় দ্বীনের অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদনেও মসজিদের ভুমিকা প্রাসঙ্গিক ও অনস্বীকার্য।মসজিদের সাথে আমাদের সম্পর্ক দৈনন্দিন জীবন ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এটি আমাদের মিলন মেলা,যেখানে আমরা প্রতিদিন পাঁচবার মিলিত হয়ে রবের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি আমাদের পারস্পরিক খোঁজ-খবর এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তোলি। ফলশ্রুতিতে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভালবাসার আবেশ ছড়িয়ে পড়ে সমাজে এবং একটি সুশীল সমাজ গড়ে উঠে।মসজিদের পানে যারা ছুটে যায় তাদের জন্য প্রতিটি কদমের বিনিময়ে উত্তম প্রতিদান,মর্যাদা ও গুনাহ মাফের ঘোষনা দিয়েছেন।عن بريدة أن النبى -صلى الله عليه وسلم- قال من تطهر فى بيته ثم مضى الى بيت من بيوت الله يقضى فريضة من فرائض الله كانت خطواته إحداها تحط خطيئة والأخرى ترفع درجة. -أخرجه مسلم হযরত বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম বলেন:যে ব্যক্তি তার বাড়ীতে পবিত্রতার অর্জন করল অত:পর ফরজ ইবাদত আদায়ের উদ্দেশ্যে আল্লাহর ঘরে (মসজিদে) গেল তার এক কদমের বিনিময়ে গুনাহ মার্জনা হবে এবং অপর কদমের বিনিময়ে মর্যদা বৃদ্ধি পাবে।(মুসলিম)
#ইসলামের প্রাথমিক যুগে মসজিদের ভুমিকা: ইসলামের প্রাথমিক যুগে সমাজ পরিবর্তনে মসজিদের ভুমিকাই ছিল প্রধান।মসজিদ ছিল একই সাথে দাওয়াতী কাজের প্রাণকেন্দ্র এবং রাষ্ট্রীয় ভবন।দাওয়াতী কার্যক্রম এখান থেকেই পরিচালনা করা হত।বিভিন্ন বিষয়ের পরামর্শ ও সিন্ধান্ত গ্রহণ এখানেই সম্পাদন করা হত।বিভিন্ন দেশ ও এলাকা থেকে আগত প্রতিনিধি ও মেহমানদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম মসজিদেই স্বাগত জানাতেন।সাহাবায়ে কিরামের সাথে মসজিদেই তিনি মিলিত হতেন এবং তাদের শিক্ষাদান করতেন।এক কথায়:মসজিদ ছিল তৎকালীন মুসলিম সমাজের যাবতীয় কাজের কেন্দ্রস্থল।
দৈনিক পাঁচবার মসজিদে যেতে সক্ষম সেই রবের সন্তুষ্টির জন্যই অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার মানসিকতা তার অন্তরে জাগ্রত হয়।আল্লাহ তা’য়ালা বলেন:
إن الصلاة تنهى عن الفحشاء والمنكر
নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।(সুরা আনকাবুত ৪৫)
ইসলামকে সৌন্দর্যমন্ডিত করতে আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর মনোনীত একমাত্র দীনের সঠিক বুঝ দান করুন এবং সেই দীনে আমাদেরকে পুরোপুরিভাবে দাখিল হওয়ার তৌফিক দিন।
দৈনিক পাঁচবার মসজিদে যেতে সক্ষম সেই রবের সন্তুষ্টির জন্যই অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার মানসিকতা তার অন্তরে জাগ্রত হয়।আল্লাহ তা’য়ালা বলেন:
إن الصلاة تنهى عن الفحشاء والمنكر
নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।(সুরা আনকাবুত ৪৫)
ইসলামকে সৌন্দর্যমন্ডিত করতে আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর মনোনীত একমাত্র দীনের সঠিক বুঝ দান করুন এবং সেই দীনে আমাদেরকে পুরোপুরিভাবে দাখিল হওয়ার তৌফিক দিন।