✏ইমরান বিন বদরী।
তখন মদিনায় বৃষ্টি হচ্ছিলনা বলে চারিদিকে শুরু হয় প্রচন্ড দুর্ভিক্ষ।সেদিন ছিল জুমার দিন।আমার দয়াল নবী মানব মুক্তির দিশারী মসজিদে নববীতে খোতবা দেয়ার প্রাক্কালের এই ঘটনা।যথারীতি নবী প্রেমে সিক্ত হযরত আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণিত আরেকটি মুজেজা এ রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম।সেদিন আরেকবার প্রমাণীত হয়েছিল রহমাতুল্লিল আলামীনের দোয়া করার সাথে সাথে মহান আল্লাহর দরবারে তা কবুল আর মন্জুর হয়ে যায়।সুবহান'আল্লাহ!
আসুন মূল হাদিস শরীফটি পড়ি।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أَصَابَتِ النَّاسَ سَنَةٌ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَبَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ قَامَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَ الْمَالُ وَجَاعَ الْعِيَالُ، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا. فَرَفَعَ يَدَيْهِ، وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ قَزَعَةً، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا وَضَعَهَا حَتَّى ثَارَ السَّحَابُ أَمْثَالَ الْجِبَالِ، ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ عَنْ مِنْبَرِهِ حَتَّى رَأَيْتُ الْمَطَرَ يَتَحَادَرُ عَلَى لِحْيَتِهِ صلى الله عليه وسلم فَمُطِرْنَا يَوْمَنَا ذَلِكَ، وَمِنَ الْغَدِ، وَبَعْدَ الْغَدِ وَالَّذِي يَلِيهِ، حَتَّى الْجُمُعَةِ الأُخْرَى، وَقَامَ ذَلِكَ الأَعْرَابِيُّ ـ أَوْ قَالَ غَيْرُهُ ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَهَدَّمَ الْبِنَاءُ وَغَرِقَ الْمَالُ، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا. فَرَفَعَ يَدَيْهِ، فَقَالَ " اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا، وَلاَ عَلَيْنَا ". فَمَا يُشِيرُ بِيَدِهِ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ السَّحَابِ إِلاَّ انْفَرَجَتْ، وَصَارَتِ الْمَدِينَةُ مِثْلَ الْجَوْبَةِ، وَسَالَ الْوَادِي قَنَاةُ شَهْرًا، وَلَمْ يَجِئْ أَحَدٌ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلاَّ حَدَّثَ بِالْجَوْدِ.
আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে একবার দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সে সময় এক জুমু'আর দিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন। তখন এক বেদুঈন উঠে দাঁড়াল এবং আরয করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (বৃষ্টির অভাবে) সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।পরিবার পরিজনও অনাহারে রয়েছে। তাই আপনি আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য দু’আ করুন। তিনি দু’হাত তুললেন। সে সময় আমরা আকাশে এক খন্ড মেঘও দেখিনি।যার হাতে আমার প্রাণ,তাঁর শপথ (করে বলছি)! (দু’আ শেষে) তিনি দু’হাত (এখনও) নামান নি, এমন সময় পাহাড়ের ন্যায় মেঘের বিরাট বিরাট খন্ড উঠে আসল। তারপর তিনি মিম্বর থেকে অবতরণ করেন নাই, এমন সময় দেখতে পেলাম তাঁর পবিত্র দাঁড়ির উপর ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। সে দিন আমাদের এখানে বৃষ্টি হল।এর পরে ক্রমাগত দু’দিন এবং পরবর্তী জুমু'আ পর্যন্ত প্রত্যেক দিন।
(পরবর্তী জুমু'আর দিন) সে বেদুইন অথবা অন্য কেউ উঠে দাঁড়াল এবং আরয করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (বৃষ্টির কারণে) এখন আমাদের বাড়ী ঘর ধ্বসে পড়ছে,সম্পদ ডুবে যাচ্ছে।তাই আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ করুন।তখন তিনি দু’হাত তুললেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহ আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (বৃষ্টি দাও),আমাদের উপর নয়।(দু’আর সময়) তিনি মেঘের এক একটি খন্ডের দিকে ইঙ্গিত করছিলেন, আর সেখান-কার মেঘ কেটে যাচ্ছিল।এর ফলে চতুর্দিকে মেঘ পরিবেষ্টিত অবস্থায় ঢালের ন্যায় মদিনার আকশ মেঘমুক্ত হয়ে গেল এবং কানাত উপত্যকার পানি এক মাস ধরে প্রবাহিত হতে লাগল,তখন (মদিনার) চতুরপার্শের যে কোন অঞ্চল হতে যে কেউ এসেছে,সে এ মুষলধারে বৃষ্টির কথা আলোচনা করেছে।(সহীহ বুখারী/ইফাঃ)
🔊 শুধু তাইনয় হযরত আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু অন্য এক রেওয়ায়েতে বলেন, أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ كَانَ إِذَا قَحَطُوا اسْتَسْقَى بِالْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنَّا كُنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا فَتَسْقِينَا وَإِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا فَاسْقِنَا. قَالَ فَيُسْقَوْنَ. উমর ইবনু খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু অনাবৃষ্টির সময় আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব এর উসিলা দিয়ে বৃষ্টির জন্য দু’আ করতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ! (প্রথমে) আমরা আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উসিলা দিয়ে দোয়া করতাম এবং আপনি বৃষ্টি দান করতেন।এখন আমরা আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচার উসিলা দিয়ে দু’আ করছি, আপনি আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন।বর্ণনাকারী বলেন,দু’আর সাথে সাথেই বৃষ্টি বর্ষিত হতো।(সহীহ বুখারী)
✔এতে স্পষ্ট যে উছিলা বা মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করা যায় এবং তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী,বিশেষ করে আমার নবী সল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর উছিলায়। যে নবীর নামে দরুদ পড়লে দোয়া কবুল হয় বেশী।আল্লাহপাক আমাদের রহমাতুল্লীল আলামীনের শান মান বুঝার তাওফিক দান করুক।আমীন।
তখন মদিনায় বৃষ্টি হচ্ছিলনা বলে চারিদিকে শুরু হয় প্রচন্ড দুর্ভিক্ষ।সেদিন ছিল জুমার দিন।আমার দয়াল নবী মানব মুক্তির দিশারী মসজিদে নববীতে খোতবা দেয়ার প্রাক্কালের এই ঘটনা।যথারীতি নবী প্রেমে সিক্ত হযরত আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণিত আরেকটি মুজেজা এ রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম।সেদিন আরেকবার প্রমাণীত হয়েছিল রহমাতুল্লিল আলামীনের দোয়া করার সাথে সাথে মহান আল্লাহর দরবারে তা কবুল আর মন্জুর হয়ে যায়।সুবহান'আল্লাহ!
আসুন মূল হাদিস শরীফটি পড়ি।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أَصَابَتِ النَّاسَ سَنَةٌ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَبَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ قَامَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَ الْمَالُ وَجَاعَ الْعِيَالُ، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا. فَرَفَعَ يَدَيْهِ، وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ قَزَعَةً، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا وَضَعَهَا حَتَّى ثَارَ السَّحَابُ أَمْثَالَ الْجِبَالِ، ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ عَنْ مِنْبَرِهِ حَتَّى رَأَيْتُ الْمَطَرَ يَتَحَادَرُ عَلَى لِحْيَتِهِ صلى الله عليه وسلم فَمُطِرْنَا يَوْمَنَا ذَلِكَ، وَمِنَ الْغَدِ، وَبَعْدَ الْغَدِ وَالَّذِي يَلِيهِ، حَتَّى الْجُمُعَةِ الأُخْرَى، وَقَامَ ذَلِكَ الأَعْرَابِيُّ ـ أَوْ قَالَ غَيْرُهُ ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَهَدَّمَ الْبِنَاءُ وَغَرِقَ الْمَالُ، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا. فَرَفَعَ يَدَيْهِ، فَقَالَ " اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا، وَلاَ عَلَيْنَا ". فَمَا يُشِيرُ بِيَدِهِ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ السَّحَابِ إِلاَّ انْفَرَجَتْ، وَصَارَتِ الْمَدِينَةُ مِثْلَ الْجَوْبَةِ، وَسَالَ الْوَادِي قَنَاةُ شَهْرًا، وَلَمْ يَجِئْ أَحَدٌ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلاَّ حَدَّثَ بِالْجَوْدِ.
আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে একবার দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সে সময় এক জুমু'আর দিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন। তখন এক বেদুঈন উঠে দাঁড়াল এবং আরয করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (বৃষ্টির অভাবে) সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।পরিবার পরিজনও অনাহারে রয়েছে। তাই আপনি আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য দু’আ করুন। তিনি দু’হাত তুললেন। সে সময় আমরা আকাশে এক খন্ড মেঘও দেখিনি।যার হাতে আমার প্রাণ,তাঁর শপথ (করে বলছি)! (দু’আ শেষে) তিনি দু’হাত (এখনও) নামান নি, এমন সময় পাহাড়ের ন্যায় মেঘের বিরাট বিরাট খন্ড উঠে আসল। তারপর তিনি মিম্বর থেকে অবতরণ করেন নাই, এমন সময় দেখতে পেলাম তাঁর পবিত্র দাঁড়ির উপর ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। সে দিন আমাদের এখানে বৃষ্টি হল।এর পরে ক্রমাগত দু’দিন এবং পরবর্তী জুমু'আ পর্যন্ত প্রত্যেক দিন।
(পরবর্তী জুমু'আর দিন) সে বেদুইন অথবা অন্য কেউ উঠে দাঁড়াল এবং আরয করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (বৃষ্টির কারণে) এখন আমাদের বাড়ী ঘর ধ্বসে পড়ছে,সম্পদ ডুবে যাচ্ছে।তাই আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ করুন।তখন তিনি দু’হাত তুললেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহ আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (বৃষ্টি দাও),আমাদের উপর নয়।(দু’আর সময়) তিনি মেঘের এক একটি খন্ডের দিকে ইঙ্গিত করছিলেন, আর সেখান-কার মেঘ কেটে যাচ্ছিল।এর ফলে চতুর্দিকে মেঘ পরিবেষ্টিত অবস্থায় ঢালের ন্যায় মদিনার আকশ মেঘমুক্ত হয়ে গেল এবং কানাত উপত্যকার পানি এক মাস ধরে প্রবাহিত হতে লাগল,তখন (মদিনার) চতুরপার্শের যে কোন অঞ্চল হতে যে কেউ এসেছে,সে এ মুষলধারে বৃষ্টির কথা আলোচনা করেছে।(সহীহ বুখারী/ইফাঃ)
🔊 শুধু তাইনয় হযরত আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু অন্য এক রেওয়ায়েতে বলেন, أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ كَانَ إِذَا قَحَطُوا اسْتَسْقَى بِالْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنَّا كُنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا فَتَسْقِينَا وَإِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا فَاسْقِنَا. قَالَ فَيُسْقَوْنَ. উমর ইবনু খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু অনাবৃষ্টির সময় আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব এর উসিলা দিয়ে বৃষ্টির জন্য দু’আ করতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ! (প্রথমে) আমরা আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উসিলা দিয়ে দোয়া করতাম এবং আপনি বৃষ্টি দান করতেন।এখন আমরা আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচার উসিলা দিয়ে দু’আ করছি, আপনি আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন।বর্ণনাকারী বলেন,দু’আর সাথে সাথেই বৃষ্টি বর্ষিত হতো।(সহীহ বুখারী)
✔এতে স্পষ্ট যে উছিলা বা মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করা যায় এবং তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী,বিশেষ করে আমার নবী সল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর উছিলায়। যে নবীর নামে দরুদ পড়লে দোয়া কবুল হয় বেশী।আল্লাহপাক আমাদের রহমাতুল্লীল আলামীনের শান মান বুঝার তাওফিক দান করুক।আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন